এই মেসেই ভাড়া থাকত সুশান্ত, ফিরেছিল ঘটনার পরেও Berhampore Gorabazar

Published By: Madhyabanga News | Published On:

১৮ই এপ্রিল থেকে একটানা ২৯শে এপ্রিল পর্যন্ত বহরমপুরে গোরাবাজারে এক মেসেই ছিল সুশান্ত চৌধুরী।  ওই মেস থেকে সুতপা চৌধুরীর মেসের দূরত্বও খুব বেশি নয়। খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই ওই মেসে ডেরা বেঁধেছিলেন বলে অনুমান পুলিশের। গোরাবাজার জাহানবক্স লেনের এই বাড়িতে বসেই কী খুনের ছক কষে সুশান্ত ? উঠছে প্রশ্ন।

মেস সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন মেসে একাই ছিল সুশান্ত। ২ তারিখই মেস ছাড়ারর কথা ছিল সুশান্তর। সেদিন মেসের মালিকদের জানান, তিনি অন্য ঘর পেয়েছে। ঘর ছেড়ে দেবে সে।

১লা মে মেসে আসেন সুশান্ত।  ২রা মে সন্ধ্যের সন্ধ্যেয় শেষ বারের মতো  মেস ছেড়ে চলে যান। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন বহরমপুর সুইমিং ক্লাবের মোড় থেকে পেছন থেকে ছাত্রীটিকে অনুসরণ  করে সুশান্ত। সুতপতা নিজের  মেসের দরজার কাছে পৌচ্ছতেই সুশান্ত তাকে পিছন থেকে ডেকে তার উপর ঝাঁপিয়ে পরে। চালাতে থাকে ছুরি।  তারপর সামনের গলি দিয়ে পেড়িয়ে এক্সিস  ব্যাঙ্ক ও জজকোর্টের সংযোগকারী রাস্তার উপরে একটি টোটো ধরে, সেই টোটো ধরে গোরাবাজার জাহানবক্স লেনে তার মেস বাড়ির সামনে আসে। টোটোকে দাড় করিয়ে মেসের ভেতর গিয়ে জামা পাল্টে ব্যাগপত্র নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ওই টোটো নিয়েই বহরমপুর পুরনো কান্দি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে পৌঁছায় । মেসে কেউ না থাকায় কাজ অনেকটাই সহজ হয়েছিল সুশান্তর।

সেখান থেকেই কালো গাড়ি ধরে  রওনা দেয় মালদার দিকে। ছাত্রী খুনের ঘটনায় ধৃতকে জেরায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিকল্পনা করে একেবারে ঠান্ডা মাথায় খুন করার উদ্দেশ্যেই কি ছিল সুশান্তর? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্তে পুলিশ।