মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ দরজায় কড়া নাড়ছে বড়দিন । আর মাত্র একটা মাস। তারপরেই শুরু হবে কেকের পরব। তবে পাশ্চাত্যের ক্রিসমাস , বাঙালির যিশু উৎসব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল আজ। এই প্রথম বহরমপুরে শহরে অনুষ্ঠিত হল কেক মিক্সিং সেরিমনি। উৎসবের আয়োজন করেছেল বহরমপুরের অন্যতম হোটেল রেস্তোরা “গোল্ডেন রিট্রিট” ।
তবে এই কেক সেরিমনি বিষয়টা আসলে ঠিক কী ? সেই উত্তরও মিলল এদিন। বড় বড় শহরগুলিতে এবং ইউরোপজুড়ে ক্রিসমাসের একমাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হয় কেক তৈরি করার । সেই প্রস্ততিকে কেন্দ্র করেই সেভেন্টিন্থ সেঞ্চুরিতে প্রথম এই কেক সেরিমনি চালু হয়।
ইউরোপের বিভিন্ন শহরগুলিতে এই কেক সেরিমনি একটা বড় অনুষ্ঠান । ক্রিসমাসের ঠিক এক মাস আগে বিভিন্ন রকমের ড্রাই ফ্রুট, ফ্রুট আরো বিভিন্ন রকমের ইনগ্রেডিয়েন্ট কে বিভিন্ন প্রকার লিকার ও ওয়াইনে প্রায় এক মাস ধরে ভিজিয়ে রাখা হয়। ড্রাইফ্রুট গুলিকে লিকারে মজানো হয় প্রায় এক মাস ধরে। এরপর এই সমস্ত উপাদান দিয়েই তৈরি হবে বিভিন্ন রকমের কেক।
নবাবের জেলা মুর্শিদাবাদের সদর শহর বহরমপুরে গোল্ডেন রিট্রিটে এই প্রথম কেক মিক্সিং সেরিমনি অনুষ্ঠিত হল জাঁকজমকপূর্ণ । এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহর বহরমপুরের বিশিষ্ট জন থেকে সাংস্কৃতিক কর্মীরা । বিশিষ্ট সমাজকর্মী ডঃ চন্দ্রানী সেনগুপ্ত জানান, এই অনুষ্টানে আসতে পেরে তিনিও খুশি।
বিদেশি রীতিকে বহরমপুর তথা জেলার মানুষের কাছে তুলে ধরতে পেরে খুশি গোল্ডেন রিট্রিটের কর্ণধার হিমাদ্রি দাস ও রিমি দাস। গোল্ডেন রিট্রিটের জেনারেল ম্যানেজার সৈকত বড়াল জানান, এদিনের উৎসব মুর্শিদাবাদ জেলার কেকের ইতিহাসে মাইলস্টোন তৈরী করল ।
এদিন এই কেক মিক্সিং সেরেমনি অনুষ্ঠানে গোল্ডেন রিট্রিটে উপস্থিত ছিলেন বিদেশী পর্যটকরাও । হোটেলের শেফদের সাথে এই উৎসবে সামিল হলেন তারাও । আগামী ২৪ শে ডিসেম্বর থেকে গোল্ডেন রিট্রিটে পাওয়া যাবে বিভিন্ন রকমের কেক ।