শরীর ও মনকে নিয়ম বা ছন্দে নিয়ে আসার একমাত্র পথ হল নিয়মিত যোগ অনুশীলন করা । যোগব্যায়াম হল গুরুমুখী বিদ্যা। তাই সঠিক গুরু বা প্রশিক্ষক একমাত্র এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী। শহর বহরমপুরে এমনই এক প্রতিষ্ঠান যোগায়ন । যে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সাগর ঘোষ ( রাজা) নিরন্তর সে কাজটি করে চলেছেন প্রায় 25 বছর ধরে । দুর্গোৎসবের পরবর্তীতে যোগ ব্যায়ামের মধ্যে দিয়ে কিভাবে আবার জীবনের ছন্দে নিয়মে ফিরে আসা যায় এবং শরীর ও মনকে ধারাবাহিক সতেজ রাখা যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে ? উত্তর জানতে রাহি মিত্র কথা বললেন সাগর ঘোষের সাথে।
প্রশ্নঃ উৎসবের মরসুমে র প্রধান উৎসব দুর্গাপূজো তো পার হয়ে গেছে। নানা ধরনের অনিয়ম খানাপিনা ঘোরাফেরা লাগামছাড়া চলেছে এই ৫ থেকে ৬ দিন ধরে । আবার ছন্দে ফিরবো কিভাবে।
সাগরঃ একদমই তাই। তবে এই উৎসব আর উৎসবকে কেন্দ্র করে আনন্দ আনন্দ ঘোরা বেড়ানো , খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা , প্যান্ডেল হপিং এসবই কিন্তু আমাদের জীবনের অঙ্গ । তাই সবই করতে হবে আনন্দ করে । এবার কিন্তু পুজো মিটে যাওয়াতে শরীরের দিকে খেয়াল দিতে হবে । দিনে অন্তত কম করেও ১৫ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে যোগের মাধ্যমে । ছোট-বড়-মাঝারি সকলেই কিন্তু করবে এই যোগ চর্চা ।
প্রশ্নঃ প্রাণায়াম কি করতে হবে একইসঙ্গে ?
সাগরঃ অবশ্য করতে হবে । কারণ আমাদের শরীর থেকে টক্সিন নামক ক্ষতিকারক পদার্থ কে বের করতে প্রাণায়াম করা অত্যন্ত প্রয়োজন। ফুসফুসকে শক্তিশালী করতে প্রাণায়াম একান্ত প্রয়োজন। অক্সিজেনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও প্রাণায়াম দরকার অবশ্যই । তবে সঠিক নিয়ম মেনে এবং প্রশিক্ষকের সাহায্য নিয়ে তবেই করা উচিত প্রাণায়াম ।
প্রশ্ন ঃ সামনেই তো কালীপুজো বায়ুদূষণ হবে বাজির ধোঁয়াতে । শব্দে হবে শব্দ দূষণ। কি করে রেহাই পাওয়া যাবে যোগ অভ্যাস এর মধ্যে দিয়ে ?
সাগর ঃ ঠিক কথা । কালি পুজোতে বাজি ফাটানোর কারণে যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদের সেটা আরো বাড়ে । তাই কিছুটা এড়িয়ে থাকতে হবে । সাথে রোজকার যোগব্যায়াম আর প্রাণায়াম অবশ্যই চালিয়ে যেতে হবে ।
জীবনে সব আনন্দ ভোগ করার চেষ্টা করতে হবে । পেতেও হবে আনন্দ । তবে ভোগ করতে হলে যোগ করতে হবে । সাফ জানিয়ে দিলেন যোগায়ন র কর্ণধার তথা অধ্যক্ষ প্রশিক্ষক সাগর ঘোষ ।