ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ল্যাবরেটরিতে আগুন লাগা নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য

Published By: Madhyabanga News | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুরঃ বহরমপুর বানজেটিয়ার কাছে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার ল্যাবরেটরিতে আগুন লাগে বুধবার বিকেলে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায় ৩০টি কম্পিউটার সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। তবে কিভাবে এই আগুন লাগলো তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য।

সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য অগ্নিবীর প্রকল্পের অনলাইন পরীক্ষা চলছিল ওই কলেজের প্রত্যয় ভবনে। কলেজ সূত্রে জানা যায়, বুধবারও ওই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে আগুন লাগে বলে দাবি কলেজ কতৃপক্ষের। প্রাথমিকভাবে শট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন লাগার দাবি করলেও বৃহস্পতিবার কলেজ কতৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেন এসি থেকে এই আগুন লেগেছে। কলেজের রেজিস্টার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “ প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। কিন্তু ঘটনার পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জানতে পারি ওই ঘরের এসিতে আগুন লেগে যায়। সেই আগুন ছড়িয়ে পরে সারা ঘরে।”

পুড়ে যাওয়া ল্যাবরেটরি

কলেজের সিস্টেম ইনচার্জ অভিজিৎ প্রামাণিক বলেন, “ কলেজের এসি নিয়মিত সার্ভিসিং করা হয়। এ বছর হয় নি। ওই ঘর নতুন করে সারানো হয়েছিল। নতুন কম্পিউটার ছিল। প্রায় দশ বিশ লক্ষ টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” কলেজ পড়ুয়াদের দাবি, ওই ল্যাবরেটরিতে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের নেটওয়ার্কিংয়ের ক্লাস হয় আর প্রথম বর্ষের কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের ক্লাস হয় সেখানে। ওই গুরুত্বপূর্ণ ল্যাবরেটরিতে কোনও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা ছিল কি? কলেজ কতৃপক্ষের দাবি, ঘটনার আকস্মিকতায়  ওই যন্ত্র  সে সময় চালু করা যায় নি। তবে এসি তে কি করে আগুন লাগলো তার কোনও ব্যাখা অবশ্য দিতে পারেন নি কলেজ কতৃপক্ষ। আমাদের প্রতিনিধি তাঁকে সিসিটিভির সেই ফুটেজ চাইলেও তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। বহরমপুর থানাতেও লিখিতভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা জানানো হয় নি। বিশ্বজিৎ বলেন, “ আমরা মৌখিকভাবে বুধবার থানাকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর আর জানানো হয়নি।”

ঘটনাস্থল ঘুরে দেখাচ্ছেন রেজিস্টার বিশ্বজিৎ দাস

দুর্ঘটনার দিন কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ইন্টারভিউ ছিল। সেই সময় এই ঘটনা ঘটায় উঠে আসছে অন্তর্ঘাতের তত্বও। যদিও বিশ্বজিৎ সেই তত্ব মানতে রাজি হননি। জেলা পরিষদের বর্তমান সভাধিপতি ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস বলেন, “ আমরা নিজেরা ঘটনার তদন্ত করে দেখব। তারপরে আইনত যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেওয়া হবে।”