ইচ্ছে আছে, সময় নেই! তাই দোকানই বাঙালির পৌষপার্বণ।

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ পৌষ মাসের শেষ দিনে বাঙ্গালির পৌষপার্বণ। এই দিন বাঙালি মাতে খাবারে। শীতকালীন নতুন খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি হয় একাধিক বাঙালি খাবার পদ। বাংলাদেশের পুরনো মানুষের স্মৃতির পাতায় আজও রয়েছে পৌষপার্বণের গল্প, তাঁদের কাছে জানতে পারবেন একাধিক পিঠে পুলির নাম। কিন্তু সেসব আজ অতীত। সেই ঢঙে পৌষপার্বণ পালন আজ প্রায় অবলুপ্ত। কিন্তু রয়ে গেছে সেই স্বাদ। সেই স্বাদকে যথা সম্ভব অক্ষত রেখে শহরের মানুষকে পৌষপার্বণের মুড সেট করে দিতেই আজ শহরের মিষ্টির দোকানগুলি হাজির হয়েছে পিঠে পুলির সম্ভার নিয়ে।

দোকানে মিলছে হরেক রকম পিঠে পুলি কিন্তু স্বাদে সেই দম নেই, মনে করছেন শহরের মানুষ। শহরের প্রবীণ নাগরিক এম এম লাহিড়ী বলছেন , “এখন সব মানুষ কুঁড়ের বাথান। কেউ পরিশ্রম করতে চায় না। আর পরিশ্রম না করলে কি সেই স্বাদ মিলবে? মিলবে না।” আরও এক প্রবীণ নাগরিক প্রণব বাবু বলেন, “আমাদের সময়ে মা বানাত, কাঠের জালে, ধিমি আঁচে তৈরি হয় পিঠে পুলি। কিন্তু আমাদের স্ত্রী, মেয়েরা ওসব বানাতে পারে না। তাই খেতে গেলে দোকানে আসতেই হয়।” আক্ষেপের সুরেই বলেন তিনি।

যে বাঙালির এক সময়ে প্রথা ছিল পৌষপার্বণ। এই প্রজন্মের অধিকাংশ বাঙালি তা তৈরির পদ্ধতিই জানে না। “কি আর করা যাবে। সে সব আজ নস্টালজিয়া!” , মিষ্টির দোকান থেকে পাটিসাপটা কিনতে কিনতে বলেন প্রৌঢ় বিমলবাবু। যদিও শহরের মিষ্টির দোকানগুলি দাবী করছেন। স্বাদের দিক থেকে পিছিয়ে নেই তাঁরাও। অথেন্টিক রেসিপি মেনেই পিঠাপুলি বানাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু কথা যতই হোক শেষ কথা বলবে স্বাদই। তাই দোকান হোক বা বাড়ি পৌষপার্বণের দিনে পিঠাপুলিকে আজকের দিনে ফিরে দেখছে বাঙালি।