আমন ধানের শস্য বিমার প্রথম ধাপে নেই কান্দি মহকুমার একজনও

Published By: Madhyabanga News | Published On:

পবিত্র ত্রিবেদীঃ  কান্দি মহকুমাকে মুর্শিদাবাদ জেলায় ধান উৎপাদনের শস্য ভান্ডার বলা হয়। প্রতি বছর গড়ে প্রায় এখানে 85000 হেক্টর জমিতে বর্ষার ধান চাষ করা হয়। সেই মহকুমায় আমন ধানের শস্য বিমার প্রথম ধাপে ধান লাগাতে না পারার জন্য বিমার সুবিধা একজনও পেল না। বুধবার জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। ধানের ক্ষেত্রে তিনটি ধাপে শস্য বিমার ক্ষতিপূরণ পান কৃষকরা । যার প্রথম ধাপ হচ্ছে ‘ইনহিবিটেড শোয়িং’। অর্থাৎ যারা একেবারেই অনাবৃষ্টির কারণে ধান রোপন করতে পারেননি। কৃষি দপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেখা যাচ্ছে এরকম কয়েক হাজার কৃষক রয়েছেন। এই মহকুমায় প্রায় এক লক্ষ বিঘে জমিতে এবার বৃষ্টির অভাবে ধান লাগানো যায়নি। গড়পড়তা প্রায় 75 হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শুধুমাত্র নিয়মের গেরোয় কৃষকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে জানা গিয়েছে । কারণ যে ক্ষতিপূরণ ধার্য হয়েছে তা করা হয়েছে সামগ্রিকভাবে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ধরে। গ্রাম পঞ্চায়েত অনেকগুলো গ্রাম থাকে। দেখা যাচ্ছে কোনও গ্রামে হয়তো কোনো কৃষক ধান লাগাতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সেই শতাংশ সামগ্রিকভাবে পঞ্চায়েত এলাকায় আসছে না। কারণ, ওই পঞ্চায়েত এলাকায় অন্য গ্রামের কৃষকরা হয়তো ভালো ধান রোপন করেছেন। যার জেরে এবার বর্ষায় অনাবৃষ্টির কারণে ও সেচের অভাবে ধান রোপন করতে পারেননি এরকম কৃষক বিমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন । এই বিষয়ে কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, এবছর কান্দিতে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি প্রায় 50% । এখানে 85 হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। কিন্তু, এ বছর বৃষ্টির অভাবে 15 হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা যায়নি। যাঁরা একেবারেই ধান রোপন করতে পারেননি সেই বিমার সুবিধা এখানকার কৃষকরা পাননি। তার কারণ, এই বিমার ক্ষেত্রে ইউনিট ধরা হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যদি এটা মৌজা ধরে হত তাহলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষতিপূরণ পেতেন।

যদিও এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে কান্দি মহকুমার কৃষি আধিকারিক( প্রশাসন ) পরেশনাথ বল বলেন, রাজ্য সরকার বিনামূল্যে শস্য বিমার ব্যবস্থা করেছে। চাষীদের স্বার্থেই বীমা করা হয়েছে। সরকারি স্তরে যে নিয়ম সেই অনুযায়ী সব কিছু করা হয়েছে। পঞ্চায়েত এলাকা ধরেই এই বিমা হিসাব করা হয়েছে।
এদিকে, জানা গিয়েছে, আগামী রবি মরশুমের জন্য শস্যবিমার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। তাতে বোরো ধানের জন্য আগামী বছরের 31 জানুয়ারি পর্যন্ত বিমা করা যাবে। আলুর জন্য এবছরের 31 শে ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
যেসব জমিতে ধান চাষ হয়নি এরকম প্রায় 3800 হেক্টর টার্গেটেড রাইস ফেলো এরিয়া জমিতে ডাল শস্য লাগানো হবে। এজন্য উন্নত জাতের বীজ দেওয়া হচ্ছে।