আনারুলের টিএমসি যোগদান ‘ঘরের ছেলের ঘরে ফেরা’, দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কংগ্রেসের দলনেতা আনারুল হক বিপ্লব, বুধবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন জঙ্গিপুরে। তৃণমূল নেতৃত্ব ঘোষণা করলেন ‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে’। আনারুল হক বিপ্লব বলেন কংগ্রেসের প্রতীকে জিতলেও এলাকার মানুষের উন্নয়ন করার জন্যই তিনি ফের তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিপ্লবের যোগদানের দিন ফারাক্কা সাগরদিঘী জঙ্গিপুরের বিধায়ক উপস্থিত থাকলেও শামশেরগঞ্জ বা সুতির বিধায়ক অনুপস্থিত তৃণমূল নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন বিধায়ক অন্য কর্মসূচিতে ব্যস্ত রয়েছেন তার সম্মতি নিয়েই আনারুল হক বিপ্লবকে যোগদান করানো হয়েছে। যদিও দেখা যায়নি সামশেরগঞ্জের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বা বিধায়ক অনুগামী কোন নেতৃত্বকেই। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ফের দাবি করা হয়েছে বিপ্লবের সামশেরগঞ্জের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার।

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন আনারুল হক বিপ্লব। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুশিদাবাদ জেলা পরিষদের ৪ নম্বর আসন থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জিতেছিলেন তিনি। ভোটে জিতে দুমাস যেতে না যেতেই বুধবার জঙ্গিপুরের সাংসদের বাসভবনে এসে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান সহ তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে নিজের সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে নেন আনারুল হক বিপ্লব। তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়ন করতে হলে সরকারে যে দল আছে সেই দলের সাথে কাজ করলে উন্নয়ন করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন বিড়ি শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায়, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য দাবি অটুট থাকবে তাঁর।

উল্লেখ্য গত জেলা পরিষদে তৃণমূল কংগ্রেসের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন আনারুল হক বিপ্লব। গত বিধানসভার আগে তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দলবিরোধী কাজের জন্য বহিস্কার করা হয়। পরে তিনি আবার তৃণমূলে যোগদান করেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসের প্রতীকে সামসেরগঞ্জ ব্লক থেকে জেলা পরিষদে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন।

এর আগে সাগরদিঘি উপনির্বাচনেও দেখা গিয়ে ছিল দলবদলের ছবি। কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। এবারে পুজোর আগে ফের আনারুল হকের কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।