আছে করোনা, আছে প্যানোডেমিক, নেই মাস্ক

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ব্যুরোঃ১৩ এপ্রিলঃ রাজ্যে এসেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এখনও চলছে প্যানোডেমিক, হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তবে ভোটের হাওয়ায় করোনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না কোন রাজনৈতিক দলই। হু’এর আধিকারিকরা জানান, এশিয়ায় প্রতিদিন বাড়ছে করোনা।

রাজ্যেও প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আংশিক লকডাউনের দিকে এগচ্ছে বেশকিছু রাজ্য। হাসপাতালেও দেখা যাচ্ছে সংকট। তবে, সেসবকে পাত্তা দিতে রাজি নয় ভোট নিয়ে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি।

সোমবারও মুর্শিদাবাদ জুড়ে লাগাতার মিটং মিছিল করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। অধিকাংশ কর্মী সমর্থকের মুখেই ছিল না কোন মাস্ক।

কেন এই গাফিলতি ? উঠছে প্রশ্ন।

একদিকে ভোটের বাজার অন্যদিকে পয়লা বৈশাখ, চৈত্র সেলের বাজারে থিক থিক করছে ভিড় ।  আর সেই ভিড়ে উধাও মাস্ক। অধিকাংশ মানুষ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে একপ্রকার উদাসীন। করোনা ভয়  নেই, মুখে মাস্ক ও নেই। চূড়ান্ত অসচেতনতার মাঝেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিন দিন বাড়তে থাকা অ্যাক্টিভ কেস। সংক্রমণের নিরিখে চিন্তা বাড়াচ্ছে মুর্শিদাবাদও। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে খবর, প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে জেলায়। একদিকে হাসপাতাল গুলিতে রয়েছে করোনা চিকিৎসায় নির্দিষ্ট সংখ্যক বেড। ফলে,সাধারন মানুষ সচেতন না হলে, সংক্রমণ যে বাড়বে তা ব্লার অপেক্ষা রাখে না। আর সংক্রমণ হু হু করে বাড়লে- স্বাস্থ্য দপ্তরেরও যেঁ হাতের বাইরে পরিস্থিতি চলে যাবে, সেই আশংকাও প্রবল। কিন্তু সেই সব আশংকার বিন্দু মাত্র চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না শহরের পথে ঘাটে। তাঁর ওপর রাজনৈতিক কর্ম কাণ্ড ও থেমে নেই। একদিকে একাংশের অসচেতন জনতা, অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে  করোনা আবহে ভোট উৎসব-  ভোট নাকি মানুষের জীবন- জরুরি কোনটা?

একাংশের জনতা বলছেন, করোনা আবহে জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করা উচিৎ জমায়েত, মিটিং, মিছিল, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড- অনলাইনে বিকল্প রাস্তা খোজা দরকার। অন্যদিকে কেউ কেউ বলছেন, আম জনতাকেই সচেতন হতে হবে। তর্ক বিতর্ক, আতঙ্ক উৎকণ্ঠা বাড়ছে। ভ্যাক্সিন নেওয়ার পরেও জরুরি মাস্ক, বাইরে বেরোলেই মাস্ক পড়ার সাথে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। স্বাস্থ্য কর্তারাও বারবার সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন। অদৃশ্য শত্রুর সাথে লড়াইয়ে সচেতন ভাবে মোকাবেলা করাটাই একমাত্র উপায় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তা না হলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রোখা অসম্ভব।