মামিনুল ইসলামঃ নীল আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা। মাথার ওপর সূর্যের প্রখর তাপ । এক ফোঁটাও বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টির অভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে মুর্শিদাবাদের হরিহপাড়া ব্লকের পাট চাষ ।রুকুনপুর, নশিপুর, বেনেকোলা, স্বরুপপুর, দস্তরপাড়া, শ্রীহরিপুর, ডলটনপুর, মামদালি পুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দুরবস্থা চরমে। জলের অভাবে কি করে পাট পচাবেন তা নিয়ে চিন্তিত চাষিরা। চাষিদের মধ্যে যারা ভেবেছিলেন পাট বিক্রি করে আমন ধানের চাষ করবেন, এই পরিস্থিতিতে তাদের মাথায় হাত। আষাঢ় মাসের শেষ সপ্তাহে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কড়া রোদে মাঠ ঘাট শুকিয়ে কার্যত কাঠ হয়ে গিয়েছে। অনেকেই জমি থেকে পাট কেটে জাঁক দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু খালবিলে জল না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা।
সলেমন শেখ জানান, অল্প জলে পাট পচালে মান ভালো হবে না। আর মান খারাপ হলে ভালো দাম মিলবে না। এই সব চিন্তা ভাবনা মাথায় নিয়ে অনেকেই পাট কাটতে শুরুই করেননি। অনেকেই আবার ধৈর্য হারিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছেন। শুকনো খাল বিলে কঙ্কালের মতো পাট গাছ রেখে জল ভরা হচ্ছে । নদীতে জল না থাকায় গ্রামবাসীরা নিজেরাই দুই দিকে বাঁধ দিয়ে পাট পচানোর জায়গা তৈরি করছেন।
কৃষকরা জানান, পাট পচিয়ে বাজারে নিয়ে যেতেও অন্তত ১৫ দিন সময় লাগে। তাই এই সময় বৃষ্টি না হওয়াতে পাট নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম, সৈমুদ্দিন মণ্ডলের কথায় , পাট বিক্রি করে ধান চাষের খরচ জোগাড় করতে হয় কিন্তু এই বছর আগাম পাট লাগিয়েও এবার কোন লাভ হলনা। বৃষ্টির দেখা নেই মাঠেই পড়ে রয়েছে পাট গাছ। শুকিয়ে লাল হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির এই কঠোর রূপ হতাশ করছে চাষীদের। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন কুল কিনারা পাচ্ছেননা হরিহরপাড়া ব্লকের পাট চাষিরা।