অসহায় অবস্থায় বহরমপুরের রিক্সা চালকরা

Published By: Madhyabanga News | Published On:

রিক্সা চালকের নাম জিএম শাহ। মুসলিম ধর্মাবলম্বী যাত্রী হলে তাঁকে নাম বলেন শাহ গোলাম মোস্তফা । আর হিন্দু হলে তাঁকে বলেন নাম গোপাল মোহন শাহ। প্রায় 40 বছর ধরে বহরমপুর শহরের রাজপথে রিকশা চালাচ্ছেন তিনি। আদতে ইসলামপুরে বাসিন্দা এই রিকশাচালক বহরমপুর শহরে থেকে আরও কয়েকজনের মতো এখনো রিকশা চালান । ক্রমশ সরে যেতে থাকা রিকশাচালক পেশার যে কয়েকজন প্রতিনিধি এখনো রয়েছেন তার মধ্যে তিনি অন্যতম। ভালোবাসেন মানুষের সঙ্গে কথা বলতে। গোলাম বা গোপাল যে যেভাবে খুশি হবেন মনে করেন সে নামেই কথা বলেন। লাল দীঘির ধারে দাঁড়িয়ে শনিবার সোজাসাপ্টা বললেন, এখন রিক্সা চালিয়ে সংসার চালানো দায়।
এরকমভাবে এই বহরমপুর শহরের প্রতিটা রিকশাচালকের নিজস্ব গল্প আছে। এই শহর গড়ে ওঠার সুখ দুঃখের সঙ্গী তাঁরা। রাতবিরেতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হোক কিংবা বেড়াতে বেরোনো, এতদিন সবকিছুর ভরসা ছিলেন তাঁরা। বহরমপুর স্টেশন এর সামনে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা রিকশাচালকরা এদিন জানালেন, তাঁদের অসহায় অবস্থা।
একসময় এই রিক্সাওয়ালারা শহরের অলি গলিতে যাওয়ার জন্য প্রধান অবলম্বন ছিলেন। এখন খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন । সরেজমিনে যে রিপোর্ট উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, আগে প্রায় 4000 রিক্সা ছিল বহরমপুর পৌরসভা এলাকায় । আশেপাশের হরিদাসমাটি, হাতিনগর, রাধার ঘাট সহ সবকিছু ধরলে সংখ্যাটা হবে প্রায় 6000। এখন সাকুল্যে তা সব মিলে এসে ঠেকেছে গোটা পঞ্চাশেক সংখ্যায় । কারো দিনে 150 টাকা, কারো দিনে 200 টাকা রোজগার। জিয়াগঞ্জ, লালগোলা সহ দূর থেকেও ট্রেনে চেপে এসে কয়েকজন এখানে রিকশা চালান। নতুন ছেলে রিকশা চালানোর দিকে আর কেউ এগিয়ে যাচ্ছেন না। চালকদের মধ্যে কয়েকজন মালিকের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে রিক্সা চালান। ভাড়ার টাকা দিতেই তাদের অবকাশ মেলার ফুরসত নেই। যাত্রী পরিবহনের জন্য এখন জায়গা নিয়েছে টোটো। এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে অসহায় অবস্থা তাঁদের। এক রিকশাচালক বললেন, আমাদের দেখার কেউ নেই।