বেদান্ত চট্টোপাধ্যায়ঃ এ বছর স্বাভাবিক নিয়মেই হতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা । অতিমারির কারণে পড়াশোনা অনেকটাই হয়েছে অনলাইন মোডে । অনলাইন পড়াশোনা নিয়ে প্রথম থেকেই অনেক অভিভাবকরা নারাজ ছিলেন। কিন্তু অতিমারি করোনার জন্য অনলাইন পড়াশোনাকেই বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন সকলে । এ বছর ছাত্র ছাত্রীরা অনেকেই পুরোপুরি অনলাইনে পড়াশোনা করলেও পরীক্ষা দেবে অফলাইনে । আর তো হাতে গোনা কয়েকটা দিন,কেমন প্রস্তুতি ছাত্রছাত্রীদের ? শহরের ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও অনলাইন ক্লাসের সমস্যা কম, ইন্টারনেট পরিষেবা অনেক ভালো । কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামে যারা থাকে,যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা ঠিক ভাবে পৌঁছায় না ; তাদেরই বা কেমন প্রস্তুতি ! আসন্ন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে তাদের কী মত !
ব্রহ্ম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী শ্রেয়সী মুখার্জি বলছেন, “অফলাইন পরীক্ষায় অনেকটা সিকিওর মনে হচ্ছে । করোনার কারনে অনেকটা দুশ্চিন্তায় ছিলাম পরীক্ষা নিয়ে। অবশেষে পরীক্ষা হচ্ছে এটাই স্বস্তির বিষয়”।
তবে ক্লাস হয়েছিল অনলাইনে , অফলাইনে পরীক্ষা হবে, এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী গ্রাম সাগারপারা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র শুভজিত সাহা জানাচ্ছেন,”অল্প সময়ের মধ্যে হলেও স্কুল টিচাররা সব সিলেবাস ভালো ভাবেই কমপ্লিট করেছেন।এতদিন পরে আবার সবাই আগের মতন পরীক্ষা দেব এটা ভেবেই ভালো লাগছে । কোথাও গিয়ে ভয়ও লাগছে”!
অতিমারি ভয় জয় করে স্বাভাবিক নিয়মে উচ্চমাধ্যমিক হবে এবার । ২ রা এপ্রিল শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা । অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীদের মতন জলঙ্গি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী অনু সাহা জানাচ্ছেন , ” অফলাইন পরীক্ষায় সত্যি ভীষণ খুশি । কিন্তু অনলাইন পরীক্ষায় যেভাবে সকলে নাম্বার পেয়েছে, সেখানে এই কম্পিটিশনের বাজারে আমাদের কি হবে জানিনা ! তবে স্বাভাবিক নিয়মে পরীক্ষা হওয়ায় অনেকটা স্বস্তি হচ্ছে”।
অতিমারি কাটলেও করোনার ভয় এখনো কাটেনি, আসতে পারে চতুর্থ ঢেউ । চিন্তায় অভিভাবকরা । অফলাইনের পরীক্ষা হউয়াতে খুশি অভিভাবকরা । বেশিরভাগ অভিভাবকরা চাইছেন সমস্ত কোভিদ বিধি মেনেই সুস্থ ভাবে ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিক । আসন্ন উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে স্কুল গুলিতেও শুরু হয়েছে বিশেষ তৎপরতা ।