রিয়া সেন বহরমপুর ১২ই মার্চ – অধীরের বিরুদ্ধে এবার অপূর্ব। এবার তিনি দিল্লির লড়াইয়ে সামিল হলেন। অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃনমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী অপূর্ব সরকার। অপূর্ব সরকারের রাজনৈতিক জীবনে নজর দিলে দেখা যায়, ২০০৬ সালে কান্দী বিধানসভা আসনে কংগ্রেস প্রার্থী অতিশ সিংহকে হারিয়ে বিধানসভায় পা অপূর্ব সরকারের। সেবার অধীর চৌধুরী কংগ্রেস প্রার্থী অতিশ সিংহের বিরুদ্ধে অপূর্ব সরকারকে নির্দল হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন। পরে অবশ্য কংগ্রেসে যোগ দেন অপূর্ব সরকার। এরপর ২০১১ এবং ২০১৬ সালে পরপর দু বার কান্দি বিধানসভা আসন থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে যেতেন তিনি। ৮ ই মার্চ ২০১৮ কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দান করেন কান্দীর বিধায়ক অপূর্ব সরকার। অপূর্ব সরকার বিধায়কের পাশাপাশি কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব সামলান । কয়েক দিন আগেই বহরমপুর পুরসভার অন্যতম প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড। কলেজে ছাত্র রাজনীতিতে নির্দল হিসেবে জিতে ছাত্র সংসদের নিয়ন্ত্রক হয়েছিলেন। সেই শুরু তারপর কান্দী পৌরসভার পৌর প্রধান অজিত চক্রবর্তী, পল্টু ঘোষের মতো দাপুটে নেতাদের পরাজিত করে পুর রাজনীতিতে প্রবেশ করেন । তারপর কান্দীর রাজা কার্যত অপরাজেয় কংগ্রেস বিধায়ক অতিশ সিংহকে নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে হারিয়ে বিধানসভায় পা। নয় নয় করে তিন বার এমএলএ, গত বছর অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মনোমালিন্যে কংগ্রেস ছেড়ে তৃনমূলে নাম লেখালেন। কান্দীর যোগদান মঞ্চ থেকেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন লড়তে চান অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে। হয়তো তার সেই হুঙ্কারকেই মর্যাদা দিয়ে তৃনমূল নেতৃত্ব বিধানসভা থেকে তাঁকে লোকসভায় পাঠানোর জন্য বহরমপুর কেন্দ্রে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করলেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অপূর্ব অধীরের লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে শুধু জেলাবাসী নয় সারা রাজ্য। এই নির্বাচন যে আক্ষরিক অর্থেই বর্ণময় হতে চলেছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।