অধীর গড়ে কংগ্রেস ‘সাফ’ ; কারণ খুঁজছে কংগ্রেস শিবির

Published By: Madhyabanga News | Published On:

প্রশান্ত শর্মাঃ৩ মেঃ   বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে শূন্য পেয়েছে কংগ্রেস, জোট। জেলার ২০ টি সিটে হয় নির্বাচন। ১৮ টি সিট গিয়েছে তৃণমূলের দখলে; ২ টি সিট পেয়েছে বিজেপি।

বেশিরভাগ সিটেই মুখোমুখি লড়াই হয়েছে তৃনমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি’র। দীর্ঘদিনের অধীর গড় খোদ বহরমপুরেই জিতেছে বিজেপি। বিজেপি জিতেছে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি মুর্শিদাবাদেও । বহরমপুরে কংগ্রেস দপ্তরে  চিন্তার ছায়া নেমেছে এই ফলাফলে।

কেন এই ফল ? চিন্তায় কংগ্রেস শিবির।

দলের অধিকাংশ নেতা কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়াকেই হারের কারণ হিসেবে চিহ্নির করছে কংগ্রেস শিবির। এই বর্ষীয়ান নেতার কথায়, গ্রাম স্তরে আমাদের পুরোনো নেতাদের বেশিরভাগই তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছে। হাতে নেই কোন নির্বচিত গ্রাম পঞ্চায়েতও। ফলে, কংগ্রেসের কাছে আসছেন না কোন মানুষই।

কংগ্রেসের প্রার্থী বাছাইকেও অবশ্য দায়ী করছেন নেতৃত্বের একাংশ।

তৃণমূল এবং বিজেপি অবশ্য এই ফলকে, মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস যুগের ফলাফল হিসেবেই দেখতে চাইছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনেকেই মনে করছেন, এনআরসি-সিএএ নিয়ে চিন্তায় আছেন জেলার অধিকাংশ মানুষ। এর ফলের ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানুষের ভোটের বড়ো অংশ এককাট্টা ভাবেই গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে। আর সেই বুঝেই, তৃণমূল বিরোধী ভোটের দখল নিয়েজে রাজ্যে সরকার গঠনের দাবি করে ভোটে লড়া বিজেপি। কংগ্রেস, জোটকে গ্রহণযোগ্য বিকল্প মনে করেন নি জেলার মানুষ।

তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের বিভিন্ন ভাতা এবং রেশন ব্যবস্থায় সংস্কারকেও জয়ের বড়ো কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তবে, নিজেদের বিরোধী হিসেবে তুলে ধরতে পারলেও জেলায় বেশ কিছু আসনে জেতার সম্ভাবনা ছিল কংগ্রেসের।

এই জয় থেকেই প্রশ্ন উঠছে অধীর চৌধুরীর রাজনৈতিক ক্যারিশমার দিকেই।

নবাবের দেশে, নবাবীর দিন শেষ। টীপন্নি কাটছেন তৃণমূল বিজেপি’র নেতারা।