নিজস্ব প্রতিবেদনঃ দিন কয়েক ধরেই লাগাতার ভারী বৃষ্টি হচ্ছে মুর্শিদাবাদে। আর এই অতিবৃষ্টি সব্জি চাষিদের চিন্তা বাড়িয়েছে। শ্রাবনে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে এক কোমর জল জমেছে চাষের জমিতে। বিভিন্ন সব্জি- যেমন লঙ্কা, পটল, ওল, বেগুন, করলা, ঢ্যাঁড়শ সহ অন্যান্য সব্জির গাছ নষ্ট হয়েছে। ভারী বৃষ্টির ধাক্কা সামলাতে না পেরে জমিতেই নেতিয়ে পরেছে সব্জি গাছ। চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে সব্জি চাষিরা।
লাভের আশায় বিঘা বিঘা জমিতে সব্জি চাষ করেছিলেন বহু চাষি, কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে অতি বৃষ্টি। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া, সামসেরগঞ্জ, কান্দি, নবগ্রাম, বেলডাঙা, রেজিনগর, সর্বত্রই এক কোমর জল দাঁড়িয়ে চাষের জমিতে। যতটুকু ফসল দুর্যোগ সামলে টিকে আছে, সেই অবশিষ্ট ফসল তোলা হচ্ছে। সব্জি চাষে এতো বড় ক্ষতি হবে, তা ভাবতেও পারেন নি সব্জি চাষিরা। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, মুর্শিদাবাদ জেলায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে হয় সব্জি চাষ। যার মধ্যে অতিবৃষ্টির জেরে এবছর প্রায় পাঁচ থেকে সাত হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার আশংকা।
আর এই ক্ষতির আঁচ পরেছে সব্জি বাজারেও। এক ধাক্কায় জোগান কমায় স্বাভাবিকভাবেই দাম আরও বাড়বে। বহরমপুরের সব্জি বাজার গুলিতে সব্জির দাম কম বেশি ওঠা নামা করছে। বুধবার বহরমপুরের বাজারে- পটল ৩০ টাকা কেজি, দ্যারশ- ২০, টম্যাটো- ৬০, ডাটা ১২০ কেজি দরে বিক্রি হয়।
সব্জি বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতাদের সংখ্যা কম, ফলে কখনো কম দামে, কখনো আবার বেশি দামে সব্জি বিক্রি করছেন। প্রচুর সব্জি নষ্ট হওয়ায় আগামী দিনে সব্জির দাম আরও বাড়বে বলেই অনুমান সব্জি বিক্রেতাদের।