বেদান্ত চট্টোপাধ্যায়ঃ গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঢেঁকী দেখেছেন? জানেন কিভাবে ঢেঁকীতে চাল গুড়ো করা হয়? আগের দিনে এই ঢেঁকীতে গুড়ো করা চাল দিয়েই তৈরি হতো পিঠে । বহরমপুর স্কোয়ার ফিল্ডে এবারের খাদি মেলা পুরনো দিনের মা ঠাকুমাদের হাতে তৈরি পিঠের স্বাদ গন্ধে মাতোয়ারা । গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া শিল্প ঐতিহ্যকে আবার ফিরিয়ে এনেছে জোনাল স্তরের খাদি মেলা। পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের আয়োজনে বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে জোনাল স্তরের খাদি মেলায় যেন উঠে এসেছে এক টুকরো গ্রাম বাংলা। শীতের দিনে বাঙালির ঐতিহ্য মাখা সেই পিঠে পুলির গন্ধ যেমন রয়েছে , রয়েছে তুলাইপাঞ্জি চাল, শিল্পের নানা পসরা।
বিভিন্ন স্বাদের পিঠের গন্ধে ম ম করছে এবছরের খাদি মেলা । খাদির বিভিন্ন জিনিসপত্রের পাশাপাশি রয়েছে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন পিঠে পুলির স্টল । জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায় বাংলার তথা মুর্শিদাবাদের হারিয়ে যাওয়া লোকশিল্প কে আবার তারা নতুন করে তুলে ধরতে চাইছেন ।
এবছর খাদি মেলায় পিঠে পুলির স্টলে পাওয়া যাচ্ছে পাটিসাপটা ,ক্ষীর পাটিসাপটা, বাংলাদেশের সরা পিঠে, চুষী পিঠে, রসে ভেজা মালপোয়া ,সব্জি পিঠে, ধুকি পিঠে, দুধ পুলি । এছাড়াও বিভিন্ন রকমের খাওয়ারের দোকানও রয়েছে । পিঠে পুলির স্টলের বিশেষত্ব হল পিঠে শিল্পীরা মেলার মাঠেই ঢেঁকী তে চাল কুটছেন, গুড়ো করছেন । আর সেই চালের গুড়ো দিয়েই তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন স্বাদের পিঠে ।
পিঠে প্রস্তুতকারি শিল্পীরা এসেছেন নদীয়া জেলা থেকে । একদম গরম গরম পিঠে নিয়ে শিল্পীরা তৈরি আপনার পেটপুজোর জন্য । বহরমপুরের ভোজন রসিকরা ধন্যবাদ জানাচ্ছেন জেলা প্রশাসন কে , খাদি মেলায় এমন অভিনব আয়োজন করার জন্য ।২৯ শে জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বহরমপুর জোনাল লেভেল খাদি মেলা , চলবে আগামী ১৩ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত । ১২৫ টি স্টল নিয়ে তৈরি সেজে উঠেছে মেলা । এ বছর ১০ টি জেলা খাদি মেলায় অংশগ্রহন করেছে ।