বুধবার সকালে ফিরদৌস সেখকে বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে গলার নলি কেটে খুনে করা হয়। অভিযুক্ত তাঁর প্রতিবেশী তথা দুঃসম্পর্কের ভাই আখতারুল সেখ। এই ঘটনার পরে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করল অভিযুক্ত আখতারুল সেখ।
বুধবার সকালে রীতিমতো ছক কষে স্ত্রীকে দিয়েই ফোন করিয়ে ফিরদৌসকে বাড়িতে ডাকে সে। তারপর ঘরের দরজা বন্ধ করে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে আখতারুল সেখ। এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানার অন্তর্গত জিনারা পাড়া এলাকায়। সূত্রের খবর,তাঁর স্ত্রীর সাথে পরকিয়া সম্পর্ক ছিল নিহত মৃত ফিরদৌস সেখের। আরও ছিল কিছু আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা। সেই রাগ পুঞ্জিভূত হয়েই ঘটে বুধবার সকালের এই নৃশংস ঘটনা। নিজের হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভাই ফিরদৌসের শরীরে কোপ বসায় সে। ঘরে ফিরদৌসের নিথর দেহ ফেলে রেখে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে আখতারুল। পরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আকস্মিক এই খুনের ঘটনায় পরিবার, প্রতিবেশী প্রত্যেকেই গভীর শোকে আচ্ছন্ন।
প্রসঙ্গত, আখতারুল সেখের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে ফিরদৌস সেখের। তাঁরা একে অপরের খুড়তুতো ভাই। মৃতের স্ত্রী সোনিয়া বিবির দাবি, কোনরকম অশান্তি ছিল না, অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন তার স্বামী। কেন তাকে খুন করা হল তার কারণ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃত ফিরদৌস সেখের স্ত্রী, মা ও আত্মীয়রা। অভিযুক্ত আখতারুল সেখের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি মৃতের পরিবারের।