যৌন হেনস্থার অভিযোগে তৃণমূলের নিশানায় বাইরন

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ  ২৭ তারিখ উপনির্বাচন সাগরদিঘতে। তার আগে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে সুর চড়াল তৃনমূল। বাইরন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা অভিযোগ এনেছেন এক মহিলা । মঙ্গলবার বাইরন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে হাওড়ার এক থানায় দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগও। লিখিত অভিযোগে দাবি, ফোন করে বিরক্ত করছেন বাইরন। দেওয়া হচ্ছে হুমকি। সোস্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে মহিলার বয়ানও। মহিলার দাবি,২০১৮ সাল থেকেই তিনি চেনেন বাইরনকে। বর্তমানে বাইরনের সাথে কোন যোগাযোগ রাখতে চান না তিনি। কিন্তু একাধিক মোবাইল ফোন থেকে তাকে বিরক্ত করছেন বাইরন। ওই  মহিলার দাবি, বাইরনকে জনপ্রতিনিধি করা উচিত নয়। চাকরি দেওয়ার নাম করে দীর্ঘদিন যৌন নির্যাতন চালান বাইরন। নিয়ে গিয়েছেন কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে। সোস্যাল মিডিয়ায় হয় পরিচয়। তারপর কলকাতার এক হোটেলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। চাকরি দেওয়ার নাম করে দেখা করতে ডেকেছিলেন বলেও দাবি করেন ওই মহিলা। মহিলার দাবি, ব্ল্যাক মেল করার চেষ্টা করছেন বাইরন। আতঙ্কে আছেন তিনি।  এর  মধ্যেই বৃহস্পতিবার সাগরদিঘিতে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এই ইস্যুতে বাইরনকে নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা নেত্রীরা। নেত্রীরা প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়েও।

এদিন সাগরদিঘিতে ব্লক তৃণমূল অফিসে  সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যসভা সাংসদ,  তৃনমূল কংগ্রেস নেত্রী,  মৌসুম বেনজির নুর বলেন, ” উনি একজন উপনির্বাচনের প্রার্থী, একজন প্রার্থী যদি এই রকম মহিলা সংক্রান্ত কেসে জড়িয়ে থাকেন তাহলে এর কী সত্যতা  আছে আমরা জানতে চাই”। এই বিষয় নিয়ে কংগ্রেস দলের স্ট্যান্ডও জানতে চেয়েছেন মৌসম।  বাইরনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন  বহরমপুর মুর্শিদাবাদ জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী  শাওনি সিংহ রায়ও।

যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন। তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন বাইরন । প্রচারের ফাঁকে বাইরন বিশ্বাস বলেন, ” ওরা ( তৃণমূল কংগ্রেস)  পুলিশ প্রশাসন দিয়েই ভোট করাতে চাইছে  এখন ।  ওনাদের পায়ের  তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে।  এখন জনগন আমাদের পাশে ।  যতই মিথ্যা অভিযোগ আনুক  কোন কিছুই টিকবে না। জনগণ আমাদের সাথে আছে। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন” । তবে নির্বাচনের আগে এই রকম অভিযোগ সামনে আসায় শুরু শাসক বিরোধী তরজাও।