নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘরে ঘরে হেঁশেলে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এবং চাহিদার তালিকায় প্রথম স্থানেই থাকে আলু। আলু ছাড়া যে কোন তরি তরকারি, বা রান্না ভাবাই যায় না। কিন্তু এবার কি কমপক্ষে আলু সেদ্ধ ভাত খাওয়াও জুটবে না? আলুই যে এখন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে আলুর দাম। লাগাতার ক দিন ধরে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে আলুর। বহরমপুর শহরের বিভিন্ন সব্জি বাজারে মঙ্গলবার আলু ৩৫ টাকা কেজি। বাজারে এসে কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন আম জনতা। এদিন ৩২ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে আলুর দাম। আলুর আকাশছোঁয়া দাম আজ অবধি দেখেন নি, বলছেন অনেকেই।
করোনা আবহে এমনতিতেই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক, আর্থিক অনটনের মধ্যে রয়েছেন অনেকেই। তার ওপর আলুর চড়া দাম। আলু ব্যবসায়ীরাও একপ্রকার হতাশায়। জানা যায়, চন্দ্রমুখি আলুর ৫০ কেজির বস্তা ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বাজারে সেই আলু ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। যত দিন যাচ্ছে আলুর দাম বেড়েই চলেছে। কিন্তু কি কারনে আলুর দাম এতো বেশি, জানান নেই কারো। আলুর দামে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারাই।
আগামী দিনে আলুর দাম কোথাও গিয়ে দাঁড়াবে তা ধারনারও বাইরে। করোনা আবহে-কাজ নেই, অর্থের অভাব-লাগাম ছাড়া দামে আলুর বিক্রি কমেছে অনেকটাই। সব নিয়েই হিমশিম অবস্থায় বিক্রেতারাও।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রনে আনা যাচ্ছে না কেন? কেন এতদিনে কোন সমাধান বের করা যাচ্ছে না, এসব প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে চারপাশে। আলুর চড়া দাম এভাবে বেড়ে চললে, আলুই যে মেনু থেকে বাদ পড়বে, ক্ষতির মুখে পড়বেন সাধারন বিক্রেতারা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।