মধ্যবঙ্গ নিউজ, বহরমপুরঃ রাজ্য পরিচালনায় এসে তৃণমূল সরকার ইমামভাতা চালু করেছিল ২০১২ সালে। তারপর থেকে তিন বার বাংলা পরিচালনার সুযোগ পেলেও ইমামদের ভাতা বাড়ে নি। নির্দিষ্ট রাস্তা ধরেই বারংবার অনুরোধ করেছেন ইমামরা। একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখী হতে চেয়েছেন তাঁরা এই দাবিতেও। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে দেখা করা তো দূর অস্ত তাঁদের কথার গুরুত্ব পর্যন্ত দেয় নি সরকার। অভিযোগ রাজ্য ইমাম ও মুয়াজ্জিন অ্যান্ড চ্যারিটেবল ট্রাস্টের রাজ্য সম্পাদক নিজামুদ্দিন বিশ্বাসের। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রীকে সংগঠনের লেটার হেডে লিখিতভাবেই তাঁদের প্রদেয় ভাতা বাড়ানোর দাবি জানালেন ইমামরা।
নিজাম এদিন বলেন, “ অন্তত দশ থেকে বারো বার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কখনও ফিরহাদ হাকিম। কখনও গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে দেখা করে ফেরত আসতে হয়েছে। পরে পরে বলে এখনও দেখা হয়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রীকেই সরাসরি চিঠি লিখে আমাদের ভাতা বাড়ানোর দাবি জানালাম।” চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নিজামুদ্দিন লিখেছেন, “ আমাদের ইমামদের ১০ হাজার ও মুয়াজ্জিনদের ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হোক। দারিদ্র ইমাম মুয়াজ্জিনদের আবাসন বা ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আপনার কাছে আবেদন জানাচ্ছি।” ওয়াকফ বোর্ডের বর্তমান শীর্ষ কর্তা আহসান আলী ইমামদের হয়রানি ও অসম্মানমূলক আচরণ করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সে কথা জানিয়ে ওই শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন ইমামরা।