বেপাত্তা গুণধর! সুতির স্কুলে ভুতুড়ে শিক্ষক হেডস্যারের ছেলেই ! ছুটিতে প্রধান শিক্ষকও

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদের সুতি-১ নম্বর ব্লকের গোঠা এআর হাইস্কুলে একজনের নিয়োগের সুপারিশ পত্র নকল করে চাকরি করা ভুয়ো শিক্ষকের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার CID তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কী ভাবে অন্যের নিয়োগপত্র নকল করে চাকরি, জানতে বৃহস্পতিবার এই মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের সুতি-১ নম্বর ব্লকের গোঠা এআর হাইস্কুলে চাকরি করছিলেন অনিমেষ তিওয়ারি। এই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা আশিস তিওয়ারি। হাইকোর্টের এই রায়ের পরে বৃহস্পতিবার স্কুলে যাননি প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি বা তার ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি। যদিও শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে কিছু জানা নেই বলেই সাফাই দিলেন গোঠা এআর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি সানোয়ার হোসেনের । তাঁর আরও দাবি ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই স্কুলে আসছেন না অভিযুক্তরা।

সুতির নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াবাহাদুরপুর এলাকায় বাড়ি রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও তাঁর ছেলের। সেই বাড়ির নাম সরলা ভবন। এদিন সেখানেও যাওয়া হলে বাড়িতে দেখা পাওয়া যায়নি দুজনের কাররই। বাড়িতে ছিলেন বাড়ির কাজের পরিচারক । পরিচারক সন্তোষ দাসের  দাবি তিন দিন আগে বাবা ও ছেলে কলকাতায় গেছেন , তবে কি কারনে গেছেন তা তাঁর জানা নেই।

সুতির গোঠা এআর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশীষ তেওয়ারি এলাকার কংগ্রেস নেতা। তিনি তার ছেলেকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও এনিয়ে জেলা কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত দাসের  দাবি  খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।  এই ধরনের ঘটনা ঘটলে খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তবে ঘটনা সামনে আসায় অস্বস্তিতে কংগ্রেস।

যদিও এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। সুতি-১ নম্বর ব্লকের গোঠা এআর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশীষ তেওয়ারি ও তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি বেপাত্তা। বৃহস্পতিবার স্কুলে জাননি দুজনের কেউই। বাড়ি গিয়েও পাওয়া যায়নি তাঁদের। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত ভুয়ো শিক্ষক মাললায় নাম উঠে এসেছে গোঠা এআর হাইস্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে।