মধ্যবঙ্গনিউজ ডেস্কঃ সাগরদিঘির ‘ঘরের ছেলে’ দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় উপনির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের। সেই প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে এসে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সাগরদিঘির দিঘার মোড়ের জনসভা থেকে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এদিন অভিষেকের জনসভার মঞ্চে হাজির ছিলেন দুই বিড়ি মালিক খলিলুর রহমান ও জাকির হোসেন। একজন তৃণমূলের জঙ্গীপুরের সাংসদ, অন্যজন জঙ্গীপুরের বিধায়ক। এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন সাগরদিঘির বহু বিড়ি শ্রমিকও। তাঁদের সামনেই অভিষেক বলেন, “ খুব সম্ভবত ন’শো বিড়ি বাঁধলে ১৬৫ টাকা আর হাজার বিড়ি বাঁধলে ১৭৮ টাকা পান আপনারা। আমি খলিলুর সাহেব, জাকির ভাইকে অনুরোধ করবো যেহেতু অনেক মহিলা এই কাজ করেন তাই অগ্রাধিকার দিয়ে এই মজুরি বাড়ানোর ব্যাপারটা দেখতে। নির্বাচনের পরে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ন’শো বিড়ি বাঁধলে মজুরি ন্যূনতম ২৩০ টাকা, ২৪০ টাকা হবে। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি। আমি যা বলি তাই করি। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন।”
দিন সাতেক পরে ২৭ তারিখে সাগরদিঘির উপনির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে শেষ বেলার প্রচারে নেমে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের এই প্রতিশ্রুতিকে ‘নির্বাচনী চমক’ বলে কটাক্ষ করছেন তৃণমূল বিরোধীরা। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “ রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ অভিষেক বাবু। তিনি জানেনই না সাগরদিঘির অদুরে জঙ্গীপুরে তাঁর দলের একজন বিধায়ক আছেন। যিনি আগে শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বাড়ল না আর এখন তিনি মজুরি বাড়াবেন। ভোট পেতে ‘কুমিরের কান্না’ কাঁদছেন অভিষেক বাবু। মানুষ সব বোঝে সেটা উনি বোঝেন না।” বিজেপি’র দক্ষিণ জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, “ মুর্শিদাবাদ জেলায় সব থেকে বেশি বিড়ি শ্রমিক বাস করেন। এতদিন তারা ন্যায্য মজুরি পেলেন না। এমন নয় যে এই নির্বাচন জিতলে ওঁর দল সরকার গঠন করবে। উনি চাইলে আজকেই মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারতেন। কিন্তু ভোটে জিতলে তবে মজুরি বাড়াবেন বলে গেলেন। কেন? এটা ভোট নেওয়ার দুর্বল কৌশল মাত্র। আর কিছু নয়।”