মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজের মোড়ে অনুষ্ঠিত হল মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে জনসভা। এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা এবং তৃণমূলের জেলা ও রাজ্যস্তরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব। এই জনসভায় ছিল তৃণমূলের চাঁদের হাট বসেছিল বলা চলে। জনসভা থেকেই পঞ্চায়েত কার্যত ভোটের ঘন্টা বাজালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ।
সভার শুরুতে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ূন কবীর বলেন, “ ২৫০ টি গ্রাম পঞ্চেয়েত ও ২৬ টা ব্লকে আমরা নির্বাচিত হবই। কংগ্রেস সিপিয়েমকে আমরা পাত্তা দিই না। তৃণমূল নিজের জোড়ে মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যাবে। গোটা জেলায় এক নম্বর শক্তি আমরা। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এরা যতই মিটিং মিছিল করুক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লড়াই করবে তৃণমূল।“ আগামী পঞ্চায়েত ভোটে আবার খেলা হবে ডাক দেন হুমায়ূন কবীর।
মুশিদাবাদ জেলার তাবড় তাবড় নেতৃত্বরা এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাওনী সিংহ রায় বলেন, “বহরমপুরকে বোঝাতে হবে বাঘেরা এখানে এসেছে।“ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানায় রেখে বলেন, “আপনি বলেছিলেন ২০১৪ সালে ক্ষ্মতায় এলে পেট্রলের দাম ৪০ টাকা হয়ে যাবে। এখন পেট্রল ১০৭ টাকা, গ্যাসের দাম আকাশ ছোঁয়া। আপনি উন্নয়ন করতে পারেননি। কেউ আপনার বিরুদ্ধে কথা বললে আপনি ই.ডি, সি.বি.আই পাঠিয়ে দিচ্ছেন। গোটা দেশে ই.ডি সি.বি.আই দিয়ে ভরে রেখেছেন।” বক্তব্য শেষে তিনি মঞ্চ থেকে শপথ নেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুর্শিদাবাদ জেলার সমস্ত সিট মমতা ব্যানারজির পায়ের কাছে তুলে দেবেন।
বিজেপিকে নিশানা করে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “ তৃণমূলের এই সভায় এসে জনসমুদ্রে ডুব দিয়ে এই পাপ থেকে মুক্ত হয়ে যান।” অধীরকে নিশানায় রেখে বলেন, “পাড়ার ক্লাবে ফুটবল খেলে মেসি মারাদোনার সাথে টক্কর নেওয়া যাবে না।“
শেষে ফিরহাদ হাকিম মঞ্চে অধীরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তাঁর দাবী, “নিজের দলকে ছুরি মেরে আপনার নিজের দলকে শূন্য করে দিলেন আর বিজেপিকে দুটো সিট পাইয়ে দিলেন।“ লজ্জাটা আপনার পাওয়া উচিত। সভা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ববি হাকিম বলেন, “ কংগ্রেস বিজেপি সিপি আই.এম এক হলেও আমাদের সাথে পাল্লা দিতে পারবে না।“