মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ বহরমপুরে রোগীর পরিবারের হাতে আক্রান্ত হলেন মুর্শিদাবাদের সিএমওএইচ ডাঃ সন্দীপ সান্যাল ।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, নার্সিংহোমে চিকিৎসার লাগামছাড়া খরচের অভিযোগে ক্ষিপ্ত রোগীর আত্মীয়রা চড়াও হলেন সিএমওএইচের উপর । CMOH কে মারধর ও হেনস্থার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে বহরমপুরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা সিএমওএইচ অফিস ঘেরাও করেন। হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত সেখ ও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাসের সামনে সিএমওএইচকে মারধর করে বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ ও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস বহরমপুরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে আসেন। তাঁদের সঙ্গে আসেন এলাকায় কয়েকশো সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, হরিহরপাড়ার রামকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা রুনা লায়লা বিবি পেটে ব্যাথা নিয়ে বহরমপুরে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সেখানে হয় অস্ত্রচার। রোগীর পরিবারের অভিযোগ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ লক্ষাধিক টাকা বিল করে। যা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। একই অভিযোগ নিয়ে সরব হন বহরমপুর থানার অন্তর্গত বুটারডাঙার বাসিন্দা গোলবাহার সেখের পরিবার। অসুস্থ হয়ে তাকে প্রথমে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সেখানে হয় অস্ত্রপচার। যদিও সেখানেও লাগামছাড়া বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ রোগীর আত্মীয়দের। এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে রোগীদের সঙ্গে করে কয়েকশো লোক নিয়ে বহরমপুর সিএমএইচ অফিসে আসেন হরিহরপাড়া বিধায়ক নিয়ামত শেখ, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস। তারা এসে সিএমওএইচ ডা: সন্দীপ সান্যালের সঙ্গে কথা বলেন। সন্দীপ সান্যাল রোগীকে দেখতে নিচে নামলে বিধায়ক এবং সভাধিপতির সামনেই সিএমওইচ কে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাকে ঘরে ছড়ায় তীব্র চাঞ্চল্য। মোতায়েন থাকে বিশাল পুলিশ।