মধ্যবঙ্গ নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে রাস্তায় নেমেছে সব দল। গ্রামীণ ভোটব্যাংক পুনোরোদ্ধারে মুর্শিদাবাদে পথে নেমেছে বামেরাও। পঞ্চায়েত ভোটের আগে একশো দিনের কাজ নিয়ে আন্দোলনে ফিরতে চায় বামেরা। সেই লক্ষ্যেই মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে হয় গেল সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের মুর্শিদাবাদ জেলার দু’দিনের সম্মেলন। ইসলামপুরে সম্মেলন থেকে তৈরি হয়েছে খেতমজুর সংগঠনের নতুন জেলা কমিটি । নতুন সম্পাদক হয়েছেন জামাল হোসেন। অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতা জামাল আগে ছিলেন যুব ফেডারেশনের জেলা কমিটির সম্পাদক। যুব সংগঠন ছাড়ার পর খেত মজুর সংগঠনেই যুক্ত হন তিনি। সভাপতি পদে অবশ্য থাকছেন জঙ্গিপুরের নেতা দিব্যশংকর শুক্লই। এতোদিন কৃষক আর শ্রমিক সংগঠনকে ভিত্তি করেই ভোটে লড়ত সিপিএম। তবে বেশ কিছু বছর ধরেই খেতমজুরদের সংগঠিত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে বামেরা।
দু’দিনের সম্মেলনের প্রথম দিন সমাবেশ হয় ইসলামপুর নেতাজি পার্ক ময়দানে। রবিবার ইসলামপুরে প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, খেতমজুর সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অমিয় পাত্র, সভাপতি তুষার ঘোষ ও সি.পি.আই.এম -এর দলীয় নেতৃত্বরা। জনগনের উদ্দেশ্যে পঞ্চায়েত গড়ার ও গরীব মানুষদের ১০০ দিনের কাজ আদায় করা সহ খেতমজুরদের বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার হন মহম্মদ সেলিম সহ দলীয় নেতৃত্ববৃন্দ।
নভেম্বর মাসে সারা রাজ্যজুড়ে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে বামেদের। কাল মঞ্চে সেলিম বলেন, লাঠির ভয় দেখিয়ে মানুষকে চুপ রাখতে পারবে না পুলিশ। শ্রীলঙ্কার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন ওখানকার রাষ্ট্রপতি জনগণের ভয়ে দেশছাড়া হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান চুরি করে পালাতে পারবে না। সেলিম বলেন, “আমরা পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছি। প্রধান সদস্য সবাইকে কাজের হিসাব দিয়ে হবে। কত পেলে? আর কত খেলে? হিসাব দাও। হজম করতে পারবে না। ঢেঁকুর তুলতেই হবে নইলে বমি করতে হবে।”
তৃণমূল ও বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ওরা সবাই এক জোটে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। বামেদের লড়াই এর বিরুদ্ধে। সেলিম জনতার উদ্দেশ্যে হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, “আমরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়েছি, তেভাগাতে লড়েছি, কংগ্রেসের অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়েছি আর এখন তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছি। আমরা আঁখ পেষার মেসিন তৈরি করেছি। কাউকে ছাড়ব না সবাইকে নিঙরে খেটে খাওয়া মানুষের সব টাকা বার করব।”
সম্মেলন শেষে একই সুর শোনা গিয়েছে নতুন সম্পাদক জামাল হোসেনের গলায়। জামাল হোসেন বলেন, তৃণমূলের নেতারা টাকা চুরি করেছে বলেই গ্রামের মানুষ একশো দিনের কাজ পাচ্ছেন না। একশ দিনের কাজ, আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আন্দোলন করবে খেতমজুর ইউনিয়ন।