নিজস্ব প্রতিবেদন ২৫ শে এপ্রিল : খেজুর সাধারণত মরু অঞ্চলের ফল। এটি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। পুষ্টিমানে যেমন এটি সমৃদ্ধ, তেমনি অসাধারণ এর ঔষধি গুণ। সারা বছর খেজুর খাওয়া স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এই ফলটিতে রয়েছে রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। গড়ে প্রত্যেকের দিনে ৫ টি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস রাখা উচিত।
১) হৃদপিণ্ডের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। পুরো রাত খেজুর জলে ভিজিয়ে সকালে ভেজানো খেজুর খাওয়ার অভ্যেস হার্টের রোগীর সুস্থতায় কাজ করে।২) খুব দুর্বল লাগা অথবা দেহে এনার্জির অভাব ঝটপট খেয়ে নিন খেজুর। দেহে এনার্জি সরবরাহের ক্ষেত্রে খেজুরের তুলনা নেই।৩)খাবারে অরুচি দূর করে খেজুর। নিয়মিত খেজুর খেলে খাবারে রুচি ফিরে আসে। ৪) খেজুর বিভিন্ন ক্যান্সার থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।৯) তুলনামূলক শক্ত খেজুর ধুয়ে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল খেলে তাতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। ১০)খেজুরে আছে ফাইবার যা কোলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়। ফলে ওজন বেশি বাড়ে না, সঠিক ওজনে দেহকে সুন্দর রাখা যায়।৮) ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফল দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকায় অনেক রোগ নিরাময় করা সম্ভব। ৯) খেজুরের মধ্যে অনেক গুন রয়েছে। যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো। খেজুর নিয়মিত খেলে ত্বকে উজ্জলতা ভাব ফিরে আসে।১০) শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খেজুর। এছাড়াও মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধেও এই ফল বেশ কার্যকরী। গবেষণায় দেখা যায় অ্যাবডোমিনাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে খেজুরের।১১) খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং খুব অল্প পরিমাণে সোডিয়াম। এতে করে প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের খারাপ কোলেস্টোরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টোরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমায়। ১২) খেজুর খেলে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাসের মাধ্যমেই এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।১৩) পেটের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খেজুর। এছাড়াও মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধেও এই ফল বেশ কার্যকরী। গবেষণায় দেখা যায় অ্যাবডোমিনাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে খেজুরের। ১৪) খেজুরের মধ্যে রয়েছে ফাইবার ও বিভিন্ন ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড যা সহজে খাবার হজমে সহায়তা করে। এতে করে খাবার হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।১৫) খেজুর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে বিশেষভাবে সহায়ক। এছারাও মস্তিস্ককেও প্রানবন্ত রাখে খেজুর। ১৬) খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের আয়রনের অভাব পূরণ করে এবং রক্তস্বল্পতা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।১৭) খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে যা আমাদের শরীরের নার্ভ সিস্টেমকে সচল রাখার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, খেজুরের মধ্যে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম বিদ্যমান থাকে যা মানুষের ষ্ট্রোক হওয়ার ভয়াবহতাকে ৪০% কমিয়ে দেয়।১৮) খেজুরে রয়েছে ৭৭.৫% কার্বহাইড্রেট, যা অন্যান্য খাদ্যের বিকল্প শক্তি হিসেবে কাজ করে। ক্ষুধা নিবারণের বিকল্প খাদ্য হিসেবে আমরা ২-৪টি খেজুর খেয়ে এক গ্লাস জল খেতে পারেন।