নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আবহ, উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যেই পুজো আসছে। দিন কয়েক বাদেই মহালয়া- তারপর কটা দিনের অপেক্ষা। অন্যান্য বছর এই সময়ে দম ফেলার সময় থাকে না প্রতিমা শিল্পীদের। রথের দিন থেকেই পর পর বায়না আসতেই থাকে। থিম থেকে সাবেকি- প্রতিমার সাজসোজ্জায় থাকে আলাদাই চমক। তবে এবছর পরিস্থিতি একটু অন্যরকম। দেবীপক্ষের আগেও সেভাবেও ব্যস্ততা নেই প্রতিমা শিল্পীদের। সবে মাত্র হাতে গোনা প্রতিমা তৈরিতে হাত লাগিয়েছেন শিল্পীরা। বহরমপুরের গান্ধী কলোনিতে প্রতিমা শিল্পীরা আজ হতাশ। প্রতিমা শিল্পী শ্রীদাম হালদার, গত বছর ১৪ টি প্রতিমা তৈরি করেছিলেন, এবছর এখনও পর্যন্ত ১১ টি বায়না এসেছে। তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে শহরের বাইরের পুজো কমিটি গুলি। ১৪ থেকে ১৫ ফুটের বদলে এবছর ৬ ফুট কিংবা ৫ ফুটের এক চালার মধ্যেই তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। থিম নেই, সাবেকি প্রতিমাই তৈরি করছেন। অল্পস্বল্প বায়না পেয়েই প্রতিমা তৈরিতে হাত লাগিয়েছেন শিল্পী।
মৃত শিল্পীর সুভাষ দাসের কথায়, সারা বছর দুর্গা পুজোর দিকেই তাকিয়ে থাকেন তারা। এবছর একদিকে প্রতিমা বানানোর সরঞ্জামের আকাশছোঁয়া দাম অন্যদিকে কম পারিশ্রমিকে প্রতিমা বানাতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যান্য বার যেখানে এক একটি প্রতিমা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা মজুরি পেতেন, সেখানে সেই দর এবার ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
হাতে সময় কম, যেটুকু কাজ মিলেছে তাতেই সন্তুষ্টি পেতে চাইছেন শিল্পীরা। সব বাঁধা কাটিয়ে মর্তে দেবীর আগমন হবে- এটাই তাদের কাছে স্বস্তির। সেই আশা নিয়েই পুজোর রঙে রঙিন হতে চাইছে কুমোরটুলি।