শনিবার সকালে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে শনিবার তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে ভরা বাজারের মধ্যে মারধরের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সালারের কাগ্রাম এর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি তাপস রায় ওরফে রবি রায় এদিন সকালে স্কুটারে করে বাজার যাচ্ছিলেন। সেখানেই তাঁর ওপর একদল যুবক চড়াও হয় ও তাঁকে মারধর শুরু করে , সিসিটিভি ক্যামেরায় এমনটাই দেখা যায়। এরপরেই এলাকায় দুপক্ষ (রবি রায়ের দল ও মোস্তাফিজুর রহমানের দল) জড়ো হয়। সালার থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাপস রায়কে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তাঁকে সালার ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
তাপস রায় বলেন, আমার মাথায়, বুকে মেরেছে। তার দলেরই ভরতপুর ২ নম্বরের ব্লক সভাপতির উদ্দেশ্যে বলেছেন, “ উনি কোনোদিন দলটা ঠিক করে করেননি। আগে কলকাতায় ব্যবসা করতেন। এখন কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। তাঁর লোক দিয়ে আমাকে মার খাওয়ানোর এত ঔদ্ধত্য এর একটা বিহিত চাই। ” তিনি আরও বলেছেন, “ আমাদের রাজ্যের লিডার অভিষেক ব্যানারজির কাছে আমার অনুরোধ, এই খুনি মোস্তাফিজুর রহমানদের হাত থেকে সাধারণ কর্মীদের বাঁচান। ”
প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার কাগ্রামে ভরতপুররের অঞ্চল সভাপতি তাপস রায় ও ভরতপুর ২ নম্বর ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ঘনিষ্ঠদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এলাকার জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে এই বচসা হিংসাত্মক রূপ নেয়। গন্ডগোলের জেরে ভেস্তে যায় জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে শান্তি বৈঠক। সেই গন্ডগোলের রোষেই শনিবার এই সকালের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দুপক্ষই দুপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছে।
ঘটনার পর মোস্তাফিজুর রহমান, যিনি ভরতপুর ২ নম্বরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি। তিনি বলেন, “কাগ্রামের মানুষ জানে বাজারগুলোতে রোজ সকালে কারা বাজার গরম করছিল! তখন কাগ্রামের শান্তিপ্রিয় মানুষ উত্তেজনা বসত একটু হালকা ধস্তাধস্তি করেছে। এর সাথে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নাই।”
ভরত পুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “ আমি চাই যারা এই উৎশৃঙ্খলতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের শাস্তি হোক। ”
এই ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনাকে ঘিরে সালারে উত্তপ্ত রয়েছে রাজনৈতিক আবহাওয়া।