নিজস্ব প্রতিবেদনঃ লকডাউনের জেরে বিপাকে পড়েছেন ট্রেনের হকাররা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বন্ধ ট্রেন চলাচল, তাই জীবিকাও বন্ধ হকারদের। ট্রেন চললে তবে তো পেট চলবে। অন্যান্য স্টেশনের মত আজিমগঞ্জ ফারাক্কা সেকশনের আহিরন স্টেশনেও লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে যায় রেল পরিষেবা। ট্রেনের ওপর নির্ভর করে জীবিকা চলত কিন্তু ট্রেন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন স্টেশনের অস্থায়ী দোকানদার থেকে হকাররা। আজিমগঞ্জ ও ফারাক্কার লাইনের প্রায় মাঝ বরাবর অবস্থিত আহিরন হল্ট স্টেশন। এই লাইনের ট্রেন ও স্টেশন হকার মিলিয়ে প্রায় ৫০০ জন হকার কর্মহীন হয়ে পড়েন।চরম সংকটে তাদের পরিবার।
প্রায় ৬ মাস অতিক্রান্ত হলেও কবে ট্রেন চালু হবে জানা নেই হকারদের। চরম সংকটে হকার ও তাঁদের পরিবারগুলি।প্রায় ৫০ বছর ধরে এই লাইনেই হকারি করছেন সুফল দাস, বৃদ্ধ বয়সেও হকারি করেন এখনও। তার কথায় যেদিন ট্রেন বন্ধ হয় সেদিনও তিনি কেক এবং কিছু পাউরুটি কিনেছিলেন ট্রেনে বিক্রির জন্য। কিন্তু হঠাৎ ট্রেন বন্ধ হওয়ায় বাড়িতে পড়ে নষ্ট হয় সেগুলি।
সরকারি সাহায্যে চাল আটা মিললেও জ্বালানি সহ প্রয়োজনীয় অনেককিছুই কেনার ক্ষমতা নেই হকার ও তাঁদের পরিবারগুলির। এখন কেউ অন্যত্র কাজ করে অথবা ঘুরে ঘুরে সবজি বিক্রি করে কোন রকমে দিন কাটাচ্ছেন।কবে চালু হবে রেল পরিষেবা, রেল পরিষেবা চালু হলেও আগের মত কি যত্র তত্র ঘুরে ট্রেনে বা ষ্টেশনে তারা হকারি করতে পারবেন? কোন দিকে তাদের জীবিকার ভবিষ্যৎ সব মিলিয়ে গ্রাস করেছে দুশ্চিন্তা।