নিজস্ব প্রতিবেদন: মহার্ঘ আলু। ২৫ টাকা কেজি তো দূর এক টাকাও কমে নি আলুর দাম। লাগাতার ক দিন ধরে আলুর দাম এভাবে বেড়ে চলার কি কারণ- তা অদৃশ্যই থাকছে। ধোঁয়াশায় আম জনতা। সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এই সব্জিও ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়ায় কি খাবেন আর কি কিনবেন- বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। বিগত ক দিনে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন এলাকায় আলুর দর আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরেছি। আজ দেখুন ডোমকলের বাজারে আলুর কি দর। দেখা যাচ্ছে-সেখানেও আলুর দাম চড়া। খুচরো বিক্রেতারা বলছেন, ৩০ টাকায় পাইকারের কাছ থেকে কিনে তা বাজারে বিক্রি করছেন ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা দরে। আলুর চড়া দামের জেরে বেচেকেনাও কমেছে আগের তুলানায়।
কি কারনে আলুর দাম কমছে না? খুচরো বিক্রেতাদের একাংশের দাবি, পাইকারদের থেকে বেশি দামে কেনার জন্যই ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা যাচ্ছে না। তাঁর উপর আলুর মানও খারাপ।
এক লাফে আলুর দাম এতটা বেশি হওয়ার ধাক্কা সামলানোই মুশকিল। আলু কিনতে এসে বাজারে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণ কিনতেই বাধ্য হচ্ছেন। কবে কমবে আলুর দাম? সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন আম জনতার কাছে।
খুচরো বাজারে আলুর দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে পাইকারি বাজারের ওপর। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, পাইকারি বাজারে আলুর দাম ১৫০০ টাকা প্রতি বস্তা। কি কারনে এই দাম? পাইকাররা অবশ্য বলছেন, আড়ৎ থেকে কম দামে আলু কিনতে না পারলে আলুর দাম কমানোও অসম্ভব।
এক পক্ষ বলছে ওপর মহলে দাম কমানো হোক, সরকার থেকে নির্দেশ ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হবে আলু। আলুর দামের এই দরাদরি নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নেই। কবে দাম কমবে আলুর? সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আম জনতা।