আবারও ভাঙনে বিধ্বস্ত সামসেরগঞ্জের ধুসরীপাড়া তলিয়ে গেল বহু বাড়ি ভাঙনের মুখে স্কুলও

Published By: Madhyabanga News | Published On:

মাসুদ আলি নিমতিতা ১২ই সেপ্টেম্বর – ধানঘরা, হিরানন্দনপুর, নতুন শিবপুরের পর এবার ধুসরীপাড়া। সামসেরগঞ্জের নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধুসরীপাড়া গ্রামে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। শুক্রবার রাত থেকে ভাঙনের দাপটে রাত জাগা গ্রামবাসীরা। রাতভর ক্রমশই ভাঙতে থাকে নদী পাড়, শনিবার সকাল থেকেও সেই ভাঙন চলতেই থাকে। রাতের অন্ধকারেই বহু প্রাচীন পদ্মামন্দির সংলগ্ন শিব মন্দিরও গঙ্গার জলে বিলীন হয়েছে। এরপর থেকেই গ্রাম জুড়ে ছড়ায় আতঙ্ক। রাত থেকে একের পর এক বাড়ি ভাঙতে থাকে। প্রায় ৪০ টির উপর বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে, ভাঙনে লুপ্ত হয়ে গিয়েছে প্রাচীন পদ্মামন্দিরটিও। গঙ্গা ভাঙনে দিশেহারা মানুষজন শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে মরিয়া। কেউ ঘর বাড়ি ভাংছেন, কেউ ইট, কাঠের টুকরো সরিয়ে নিচ্ছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অন্য গ্রামে। চোখের সামনে ভাঙনের ভয়াবহতা দেখতে নদী পাড়ে অসংখ্য মানুষের ভিড়। সর্বস্ব খুইয়ে চোখে জল নিয়ে খোলা আকাশের নীচে ঠাই ধসুরীপাড়ার বাসিন্দাদের।
এই ধুসরীপাড়া গ্রামে শতাধিক পরিবারের বাস। ভাঙনের হাত থেকে মানুষজনের প্রাণ বাঁচাতে এলাকায় নজরদারি চালায় বিএসএফ এবং পুলিশ। এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ বিড়ি বেঁধে সংসার চালান। ভাঙনে সব কিছু হারিয়ে গ্রামবাসীদের চোখে মুখে একরাশ হতাশা।
যে কোন সময়ে ভাঙতে পাড়ে এই গ্রামে অবস্থিত হীরানন্দনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। হাতে হাত মিলিয়ে স্কুলের আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরিয়ে নিয়ে যান শিক্ষকরা।
ধুসরীপাড়া যা পদ্মাতলা নামেও পরিচিত, আজ সেই গ্রাম যেন তছনছ হয়েছে। চারিদিকেই শুধুই ভাঙনের চিহ্ন। অনবরত ভেঙেই চলেছে নদী পাড়। নদী ভাঙন আর কত পরিবার আর কত মানুষের জীবনকে তছনছ করবে-? ভাঙনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন মানুষজন। চাইছেন সহায়তা, ত্রান এবং পুনর্বাসন।