প্রচারের জন্য হাতে মাত্র কয়েক ঘন্টা। এর মাঝেই রাতের রাস্তায় অধীর চৌধুরীকে ঘিরে বিক্ষোভ, সন্ত্রাস-পাল্টা সন্ত্রাসের অভিযোগে সরগরম শহরের রাজনীতি। প্রশ্ন উঠছে, কার লাভ কার ক্ষতি বৃহস্পতিবার রাতের রাস্তার তরজায় । কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, রাতে গোরাবাজারের এক কংগ্রেস কর্মীকে ভয় দেখিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। সেই তৃণমূল নেতার সাথে কথা বলতে গোরাবাজারে ওই নেতার অফিসের সামনেও পৌঁছে যান অধীর।
সেখানে পৌঁছান বহরমপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ও। অধীরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। নাড়ুগোপালের অভিযোগ, অধীর চৌধুরী সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন। ভয় দেখাতে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের।অধীরকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও তোলেন তৃণমূল কর্মীরা। সমর্থকদের সাথে নিয়ে কথাও হয় অধীর চৌধুরী ও নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে । সেই আলাপ কার্যত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
কথায় কথায় সুর চড়ান দুই পক্ষই। নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, নিজেরাই দোষ করছেন আর নিজেরাই নাটক করছেন। নাটক করে বিশৃঙ্খলা, ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছেন সাংসদ।
বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাবি , প্রতিদিন সন্ত্রাস হচ্ছে শহরে, নির্বাচন ঘিরে কংগ্রেস কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে।
যদিও এই তরজায় লাভ কার ? রাজনৈতিক মহলের দাবি, অধীর চৌধুরীর বিরোধিতাই বহরমপুর পৌরসভায় তৃণমূলের প্রচারে মুখ্য বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার রাত্রের ঘটনায় অন্য মাত্রা পেল সেই বিরোধিতা। আবার অনেকে মনে করছেন, রাত্রে কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি গিয়ে অধীর প্রমাণ করতে চাইলেন, আক্রান্ত কর্মীদের পাশে থাকবেন তিনি।