SSC Verdict Dhulian মুর্শিদাবাদের ভাঙন কবলিত সামসেরগঞ্জ। নদী ভাঙনের সমস্যা এখানে জ্বলন্ত। আর সাথে জুড়েছে শিক্ষক সঙ্কট। ৩ রা এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কার্যত অচলাবস্থা ধুলিয়ান বালিকা বিদ্যালয়ে। বাধ্য হয়েই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ স্কুল কর্তৃপক্ষের। পরীক্ষা নিতে গেস্ট চিটারদের দিয়ে কোনরকমে কাজ চালাচ্ছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। ধুলিয়ান বালিকা বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫৪০০ জন। মোট ২৭ জন শিক্ষিকার মধ্যে ১৯ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে সুপ্রিম রায়ে। মাত্র ৮ জন শিক্ষিকা নিয়ে স্কুল চালানো একপ্রকার অসম্ভব। ৪ ঠা এপ্রিল থেকে স্কুলে শুরু হয়েছে ইউনিট টেস্ট। ফলে স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থানীয় ৬ জনকে অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেছে স্কুল।
SSC Verdict Dhulian ধুলিয়ান বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জয়শ্রী দত্ত বলেন, ” ১৯ জন শিক্ষিকাকে হারিয়ে একেবারেই দিশেহারা। স্কুল চালানো নয়! একেবারে যুদ্ধ চলছে। আমরা সকলেই বিপর্যস্ত, ভেঙে পড়েছি, স্কুল চলবে কীভাবে এই চিন্তায়। এমনিতেই স্কুলে শিক্ষিকার অভাব ছিল। এখন ২০০ জন পড়ুয়া পিছু এক জন শিক্ষিকা গার্ড দিচ্ছে। ফলে পরীক্ষা নেওয়াই হচ্ছে আর কিছু হচ্ছে না। উপায় না থাকায় ৬ জনকে অস্থায়ী ভাবে নিযুক্ত করা হয়েছে। উন্নয়ন তহবিল ছাড়া উপায় নেই। ”
SSC Verdict Dhulian ধুলিয়ান বালিকা বিদ্যালয়ের এক সিনিয়র ক্লার্ক মহম্মদ আনিকুল ইসলাম বলেন, ” বর্তমানে স্কুলের অচলাবস্থা। ছাত্রীদের সংখ্যার নিরিখে যেখানে স্কুলে ৭৩ জন শিক্ষিকা থাকার কথা সেখানে শিক্ষিকা সংখ্যা ছিল মাত্র ২৭ জন। তার মধ্যে আবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিল হল ১৯ জনের। মাত্র ৮ জন শিক্ষিকা দিয়ে স্কুল চালানো অসম্ভব। সরকারি নির্দেশ না থাকলেও স্কুল পরিচালনার জন্য স্কুল ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ জনকে অস্থায়ী ভাবে স্কুল ফান্ড থেকে খরচ করে নিযুক্ত করা হয়েছে।”
SSC Verdict Dhulian স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মহম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, “চাপা উত্তেজনার মধ্যে রয়েছেন সকলেই। পরীক্ষা বাতিল না করে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় সেই কথা ভেবেই জরুরি ভিত্তিতে পরীক্ষা চলাকালীন ৬ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে।”
SSC Verdict Dhulian এভাবে চলবে কতদিন? পরীক্ষার পর ক্লাস হবে কীভাবে? একরাশ প্রশ্ন মনে স্কুলে আসছেন অন্যান্য শিক্ষিকারা। অন্যদিকে গেস্ট টিচার পদে নিযুক্ত হয়েছেন তারাও একপ্রকার অনিশ্চয়তার মাঝে। সব নিয়েই কার্যত হিমশিম খাচ্ছে ধুলিয়ান বালিকা বিদ্যালয়।