Sheikhdighi High School দেখতে দেখতে শতবছরে পা, শতবর্ষ উদযাপন উৎসব সেখদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের

Published By: Imagine Desk | Published On:

Sheikhdighi High School মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘি ব্লকের এই স্কুল। ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে সময়। ছোট থেকে বড় পরিসরে ব্যাপ্তি ঘটতে থাকে স্কুলের। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জ্ঞ্যানের আলোয় আলোকিত করতে ১৯২৬ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারী ভীত নির্মাণ হয়েছিল সেখদীঘি জুনিয়র মাদ্রাসার। চলমান সময়ের সাথে মিলেমিশে তা ১৯৫৬ সালে জুনিয়র হাইস্কুল থেকে ১৯৬৭ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২০০০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সরকারি অনুমোদন পায়। ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবার শতবর্ষে পদার্পণ করল।  শত বছরের এই বিদ্যায়তনের উৎসারিত আলোয় আলোকিত হয়েছে শত সহস্র শিক্ষক, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, বাস্তুকার এবং কর্মজীবী।

শতবর্ষ উদযাপনে রায়বেঁশে নৃত্য

 

Sheikhdighi High School  শতবছরের এই মাহেন্দ্রক্ষনকে গৌরবময় করে তুলতে বিদ্যালয়ের সকল প্রাক্তনী, অভিভাবক, ছাত্র ছাত্রী এবং শুভানুধ্যায়ীরা শতবর্ষ উদযাপন উৎসবে সামিল হলেন। ১৪ ই ফেব্রুয়ারী উৎসবের শুভ সূচনা হয়। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় উৎসব উদযাপন হয় সীমিত ভাবে।

Sheikhdighi High School  স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিজন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘ সেখদীঘি উচ্চ বিদ্যালয় ১০০ বছরে পদার্পণ করল। একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। গর্বের দিন। এই দিন আমরা বিদ্যালয় যারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্বদের স্মরণ করেছি। শ্রদ্ধা অর্পন করেছি। মূলত মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বড় অনুষ্ঠান করা যায় না। তাই পদযাত্রা, পতাকা উত্তোলন, রায়বেঁশে নৃত্যের মাধ্যমে দিনটা পালিত হয়েছে। আগামী ২৪ শে ফেব্রুয়ারী মূল অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানকে সফল করতে বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা, অভিভাবকবৃন্দ এবং এলাকার মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। সকলের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।’

Sheikhdighi High School  শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে একাধিক কর্মসূচীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেমন বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির, প্রাক্তনী সম্মেলন, রক্তদান শিবির, প্রদর্শনী, সেমিনার, বৃক্ষরোপণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ছাত্রীদের জন্য পৃথক স্মার্ট ক্লাস নির্মাণ, অসুস্থ হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর জন্য সিক-রুম, পরিশোধিত পানীয় জলের ব্যবস্থা সহ নানান পরিকাঠামো নির্মাণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শত বছরের ঐতিহাসিক স্মৃতিকে চির- স্মরণীয় করে রাখতে একটি স্মারক পত্রিকাও প্রকাশিত হবে। যেখানে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শুভানুধ্যায়ীদের লেখা, কবিতা, ছড়া, গল্প, প্রবন্দ, স্মৃতিকথা স্থান পাবে।