Samserganj News জাফরাবাদে ত্রাণ শিবিরে জেলা শাসক, ‘অভয়া ক্লিনিক’ অনিকেতদের

Published By: Imagine Desk | Published On:

Samserganj News   মন ভালো নেই। সঙ্গী অসুখবিসুখ। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ভুলে ছন্দে ফিরতে চাইছে মুর্শিদাবাদেসামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ। এই গ্রামেই হল ‘ অভয়া ক্লিনিক‘। আর জি কর আন্দোলনের প্রতিবাদীরা এলেন আতঙ্কে মোড়া গ্রামের মানুষদের সুস্থ করতে। চিকিৎসা পরিষেবা দিতে শিবির হল জাফরাবাদ প্রাইমারি স্কুলে। মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ অসংখ্য মানুষ শিবিরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালেন। শুধু শারীরিক সুস্থতাই নয়! মনের কোনে জমে থাকা আতঙ্ক কাটিয়ে ওঠার পরামর্শ নিলেন চিকিৎসকদের থেকে। কেমন আছেন ক্ষতিগ্রস্তরা?   মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার খেয়াল রাখতে মেডিক্যাল ক্যাম্প করে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। আরজিকর আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ অনিকেত ও তার সঙ্গীরা খোঁজ নিলেন অসুস্থদের। দিলেন সম্প্রীতির বার্তা।

 

Samserganj News ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্য ডাঃ অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জায়গা থেকে যা সাহায্য করা যায় সেই সাহায্য করছি। তাদের পাশে আছি এই বার্তা দিচ্ছি।  একটা সমাজে কখনোই এই ধরনের ঘটনা কাঙ্ক্ষিত নয়। যেমন ৯ ই আগস্টের ঘটনা। একটা মেডিক্যাল কলেজের ভেতরে রেপ অ্যান্ড মার্ডার কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়! সামাজিক যন্ত্রণা যেটা আমরা উপলব্ধি করেছি আজ অব্ধি। যখন সমাজ সাম্প্রদায়িক যন্ত্রণাতে ভুগছে তখন সেই জায়গায় একটা সম্প্রীতির বার্তা নিয়েই আজকের এই মেডিক্যাল ক্যাম্প।’

Samserganj News জাফরাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন আশ্রয়স্থল ঘর ছাড়াদের। এক কথায় ত্রাণ শিবির। ওয়াকফ ইস্যুতে অশান্ত গ্রাম চাইছে শান্তি। ছন্দে ফেরার চেষ্টায় গ্রামের মানুষ। শুক্রবার দুপুরে এই ত্রাণ শিবির ঘুরে দেখলেন খোদ জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র। পুলিশ, প্রশাসনের কর্তাদের উপস্থিতিতে খোঁজ খবর নেন ক্ষতিগ্রস্তদের। শোনেন গ্রামের মানুষদের কথা। সরকারি সহায়তায় সর্বস্বান্তদের জীবন গড়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।

Samserganj News  মুর্শিদাবাদ জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র জানান, মূল্যায়ন করা হয়েছে। চার থেকে পাঁচটি এলাকা আছে যেমন বেতবোনা, দিগরী, সাহা পাড়া, পাল পাড়া, জাফরাবাদ প্রাইমারি স্কুল ও সংলগ্ন এলাকা। পৌর এলাকার মধ্যে ঘোষ পাড়া সংলগ্ন এলাকা যা ধুলিয়ান মেন রোডের ওপর পড়ছে। পাঁচ দিন হল ত্রাণ কাজ শুরু হয়েছে। বেশীরভাগ ঘরছাড়ারা ফিরে এসেছেন। খাদ্য সামগ্রী যা লাগে সবটাই দেওয়া হয়েছে। যা ক্ষতি হয়েছে সাংঘাতিক। জীবনের দীর্ঘমেয়াদি পুনর্গঠনের জন্য বাড়ি ইত্যাদি ঠিক করার জন্য সাহায্য করা হবে। ‘ বাংলা বাড়ি’ প্রকল্পে বাড়ি দেওয়া হবে। মানুষ নিজের জীবন আবার গড়বেন, সুস্থ ভাবে থাকবেন।

Samserganj News ত্রাণ শিবিরে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রশাসনিক সহায়তা পেলেও চোখে মুখে একরাশ হতাশার ছাপ স্পষ্ট গ্রামবাসীদের। ভয়ে গ্রাম ছেড়ে মালদায় গিয়েছিলেন অনেকেই। অনেকেই আবার ফিরেছেন। গ্রামে ফিরলেও আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা সঙ্গী ক্ষতিগ্রস্তদের। শেষ থেকে শুরু হবে! আবার ঘর বাঁধবেন ক্ষতিগ্রস্তরা! এই আশায় জীবনের মূল ছন্দে ফেরার অপেক্ষা।