Rice Price Hike মাস খানেক ধরে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। যার প্রভাব পড়ছে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে। মাছে, ভাতে বাঙালি পরিবারে চাল লক্ষ্মী। এবার সেই চাল কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। মিনিকিট থেকে শুরু করে বাঁশকাঠি বা গোবিন্দভোগ, দাম বেড়েছে সব চালেরই। একলাফে ১০ টাকা বেড়েছে মিনিকেট চালের দাম। Rice Price Hike যা চিন্তায় ফেলছে সাধারণ মধ্যবিত্তকে। দোকানে এসে প্রয়োজনের তুলনায় কম চাল কিনছেন কেউ কেউ। ব্যবসায়িরাও বলছেন, ব্যবসায় মন্দা।
Rice Price Hike প্রায় মাস খানেক ধরে চালের দাম উর্ধমুখী। মিনিকেটের সাথেই বাঁশকাঠি, কালনা মিনিকেট , রাম নারায়ন মিনিকেট, কামিনি ভোগ আতপ- সব চালেরই কমবেশি দাম বেড়েছে। বহরমপুরের বাজারে- মিনিকেট চাল আগে ছিল ৫০ টাকা কেজি এখন বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা কেজি। কীভাবে এত দাম বাড়ল?
Rice Price Hike ব্যবসায়ীরা কী বলছেন?
Rice Price Hike বহরমপুর শহরের মুদি ব্যবসায়ী সন্তু দে। তিনি জানান, এখন সাধারণ মিনিকেট চাল ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দামি চালের আরও দাম বেশী। কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে মিনিকেটের। কেন চালের দাম বাড়ছে কারণ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
Rice Price Hike চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম থেকেই মিনিকেট চালের দাম প্রস্তুতকারী সংস্থা ও মান অনুযায়ী ২৬ কেজি প্যাকেটের দাম ছিল ১১৮০ টাকা থেকে ১২২০ টাকার মধ্যে। এক মাসের ব্যবধানে প্রায় ৩ দফায় ২৬ কেজি প্যাকেটের চালের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫০ টাকা থেকে ১৪৭০ টাকায়। মুর্শিদাবাদ জেলার অধিকাংশ চাল আসে দুই বর্ধমান, বীরভূম ও নবগ্রামের একাধিক চালকল থেকে। চালের উপর অতিরিক্ত জিএসটি কি দাম বাড়ার অন্যতম কারণ? প্রশ্ন একাংশের। তাছাড়া, আমন ধানের মরশুমে চাষ ও ফলন ব্যাহত হওয়াকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে কৃষকদের থেকে ধানও কেনে সরকার। তার ফলে কি চালকলেও কমছে চালের জোগান? উঠছে এই প্রশ্নও? বোরো ধান মিনিকেট চাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলে বোরো ধান না ওঠা পর্যন্ত চালের দাম কমার কি কোন সম্ভাবনা নেই? একরাশ প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে আম জনতার মনে।
Rice Price Hike রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে উঠেছে
Rice Price Hike একে ওপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি। চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র সরকারকেই দুষছেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না । চালের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল নীতির জন্য শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় সারা ভারতবর্ষে দাম বেড়েছে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তাদের যে কর নীতি, সেই কর নীতির জন্য দায়ী।”
Rice Price Hike থেমে নেই বিজেপিও। পাল্টা রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তুলোধনায় সরব বিজেপি। বিজেপি বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ” বেচারাম মান্না কৃষি দপ্তরটাকে বেঁচে দিয়েছেন। কৃষকরা ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারছেন না। চাল খরিদের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের যে দুর্নীতি সেই দুর্নীতিকে ঢাকার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার! কেন্দ্রের সরকারের সাথে চাল কেনা বেচার কোন সম্পর্কই নেই। করের ‘ক’ বোঝেন না উনি, কর নীতি কী বুঝবেন! ওনার অমর্ত্য সেনের কাছে ক্লাস নেওয়া উচিৎ।”
Rice Price Hike রাজনৈতিক তরজার মাঝেই প্রশ্ন উঠছে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে কবে? আগামী দিনে দাম আরও কি বাড়বে? বাজারে নজরদারি চালাবে প্রশাসন? দাম নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রাখতে কী ভূমিকা নেওয়া হবে? সে দিকেই তাকিয়ে আম জনতা ।