Murshidabad University VC মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় যেমন মুর্শিদাবাদের মানুষের স্বপ্ন। তেমনই জেলার মানুষের বঞ্চনারও প্রমাণ। দায়িত্ব নিয়ে যদিও মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আশার কথা শোনালেন নতুন উপাচার্য ডঃ জানে আলম । শুক্রবারই উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব নিলেন ডঃ জানে আলম Dr Jane Alam । ২০১৮ থেকে পথ চলা শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই স্থায়ী শিক্ষক। বারবার ভিসি বদলালেও বেহাল দশা শিক্ষা পরিকাঠামোর। দায়িত্ব নিয়ে বলছেন নতুন উপাচার্য বলেছেন, ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকাশ হবে। পড়াশোনা, চর্চার যে সুযোগ রয়েছে তাকে আরও বিকশিত করা হবে।
Murshidabad University VC মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ২০১৮র মাধ্যেম কৃষ্ণনাথ কলেজকে Krishnath College মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হচ্ছে বলে ঘোষণা করা হয়। কৃষ্ণনাথ কলেজের স্নাতকোত্তর বিভাগের ক্যাম্পসে ২০২১ সালে পথচলা শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের। উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয় কৃষ্ণনাথ কলেজের অধ্যক্ষা ডঃ সুজাতা বাগচী ব্যানার্জিকে । ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ডঃ মিতা ব্যানার্জকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়। । এরপর ২০২৩ সালের মার্চে নতুন উপাচার্য হন অধ্যাপক রূপকুমার বর্মণ। জুন মাসে শেষ হয় তার মেয়াদ। বেশকিছু মাস উপাচার্যহীন ছিল Murshidabad University। ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর উপাচার্য হন অধ্যাপক ড. অচিন্ত্য সাহা। ১০ ডিসেম্বর নতুন উপাচার্য হিসেবে ঘোষণা করা হল অধ্যাপক ড. জানে আলম -এর নাম। ১৩ ডিসেম্বর কাজে যোগ দিলেন তিনি। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসলে নতুন উপাচার্যকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানান হয়। দায়িত্ব নিয়েই নতুন উপাচার্যের দাবি এখন সেটা আছে ধাপে ধাপে তা আরও উন্নত করতে হবে।
Murshidabad University VC মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর আরও পড়ুনঃ Murshidabad University মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য কে ?
মুর্শিদাবাদ জেলার ছাত্রছাত্রীরা সাধারণত কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেত। একটা অংশ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যেতো। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী হওয়ায় জেলার ছেলেমেয়েদের আর বাইরে যেতে হচ্ছে না। জেলায় থেকেই তারা পড়াশোনা করতে পারছে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে রয়েছে বঞ্চনার অভিযোগও। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিকাঠামো নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোন স্থায়ী শিক্ষক। নামে বিশ্ববিদ্যালয় হলেও নেই গবেষণার কোন সুযোগ। সেই বঞ্চনা মিটবে কীভাবে ? প্রশ্ন রয়েছে শিক্ষা মহলে।