Murshidabad Tourism একটি প্রাসাদ। পাশেই একটি ঝিল। যে ঝিলের জল এতটাই স্বচ্ছ ছিল, চকচক করতো ঠিক যেন হীরের মতো। লোকমুখে সেই থেকেই প্রচলিত হীরাঝিল। ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ জেলার আরও একটি ইতিহাস বিজড়িত স্থান এই হীরাঝিল। ইতিহাস বলছে, আনুমানিক ১৭৫২ সাল নাগাদ নবাব আলীবর্দী খাঁ, তাঁর নাতি সিরাজউদ্দৌলার জন্য মতিঝিল প্রাসাদের অনুকরণে ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার উপাধি মনসুর-উল-মুলক এর অনুকরণে প্রাসাদের নামকরণ করা হয় মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ। প্রাসাদের পাশেই ছিল এই হীরাঝিল। আজ এসব কিছুই ইতিহাসের পাতায় জীবন্ত। ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে মুকুন্দবাগ অঞ্চলের সতীচৌরাহ মৌজার বাগান পাড়ায় অবশিষ্ট একটি ধ্বংস স্তুপ এর চিহ্ন পাওয়া গেছিল। প্রাথমিকভাবে সকলের অনুমান হয় সেটিই নবাব সিরাজউদ্দৌলার মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ বা হীরাঝিল প্রাসাদ।
Murshidabad Tourism বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার তৈরি মুর্শিদাবাদের হীরাঝিল প্রাসাদ ও সংলগ্ন এলাকার এখন কী অবস্থা? যা বাঁচাতে এবার সক্রিয় কলকাতা হাইকোর্ট। মুর্শিদাবাদের পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম হীরাঝিল রক্ষায় জেলা প্রশাসনকে এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দিল আদালত। বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে জায়গাটি? হীরাঝিল প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ রক্ষা করা যায় কি না! তা নিয়ে বৃহস্পতিবার রিপোর্টও চেয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
Murshidabad Tourism কী বলা হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে?
Murshidabad Tourism হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের জেলাশাসকের নেতৃত্বে একটি দল ওই জায়গাটি পরিদর্শন করবেন। যে দলে থাকবেন কেন্দ্র ও রাজ্যের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের এক জন করে প্রতিনিধি। এছাড়াও দলে থাকবেন রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের প্রতিনিধিও। পরিদর্শন দলের আহ্বায়ক হবেন খোদ জেলাশাসক। পরিদর্শন দলকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবে মামলাকারী ট্রাস্ট। আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে ওই দল আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে।
Murshidabad Tourism প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নবাব সিরাজদ্দৌলার তৈরি হীরাঝিল প্রাসাদের শেষ অংশটুকু সংরক্ষণের আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।