Murshidabad Politics ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় গত ৮ ই এপ্রিল থেকে অশান্ত মুর্শিদাবাদ। জঙ্গিপুর থেকে ওমরপুর, বিস্তীর্ণ এলাকায় কেন অশান্তির বাতাবরণ ছড়িয়ে পড়ল? প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অশান্তির পেছনে কারণ কী? এ প্রশ্ন নিয়ে সরব হন অধীর।যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক দরজা।
Murshidabad Politics মঙ্গলবার বহরমপুরে দলীয় অফিসে বসে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘ সামসেরগঞ্জে গত নির্বাচনে কংগ্রেসের অপ্রত্যাশিত জয়, সামসেরগঞ্জের দাঙ্গার পেছনে একটা কারণ। যারা দাঙ্গা লাগিয়েছে তারা জানত না যে এই দাঙ্গার ব্যাপ্তি এত হবে! ভোটের বিভাজনে কংগ্রেস জিতে যাবে এই আশঙ্কায় যারা ভোটে হারতে পারে তারা চিন্তিত ছিল।’
Murshidabad Politics পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছোড়েন অধীর। বলেন, ‘পুলিশের মধ্যে কোন ‘ফিফথ কলম’ কাজ করছে কিনা দেখতে হবে। কেন পুলিশ চুপ থাকল? পুলিশ কি চুপ ছিল শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতাদের ইশারায়? না পুলিশের মধ্যে কোন উপরওয়ালার ইশারায়? তাদের মধ্যে কি কোন সাম্প্রদায়িক মানসিকতা কাজ করেছে? এ প্রশ্ন আসা দরকার।’ অধীরের অভিযোগ, গত এক বছর ধরে মুর্শিদাবাদে এক বছর ধরে দাঙ্গার ঘটনা হয়ে চলেছে। বলেন, ‘ আমাকে হারানোর সময় শক্তিপুরে যে দাঙ্গার খেল শুরু হয়েছিল, শক্তিপুর থেকে নওদা, বেলডাঙা হয়ে জঙ্গিপুর হয়ে সামসেরগঞ্জে পৌঁছে গেল। মুর্শিদাবাদের দক্ষিন প্রান্ত থেকে উত্তর প্রান্তে এই দাঙ্গা এমনি এমনি ছড়িয়ে পড়ছে না! নির্বাচনী অঙ্ক বড় খতরনাক। সামসেরগঞ্জে কংগ্রেসের জয় যদি কারও মনে ভীতি সৃষ্টি করে থাকে, কেউ যদি ভেবে থাকে হাড় নিশ্চিত হতে পারে, বিপদে পড়তে পারে, দাঙ্গা করার পেছনে তাদের অবশই প্রশ্রয় থাকতে হবে। নির্বাচনী সমীকরণ এই কথা বলছে।’
Murshidabad Politics অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘ সামসেরগঞ্জে অনেক ভোটে জিতেছিল বলেই তো যেখানে তার বাবা আবু হাসেম খান চৌধুরী ২০১৯ এ সাড়ে আট হাজার ভোটে জেতে। সেখানে ফারাক্কা ৪৯ হাজার, ১৮ হাজার সামসেরগঞ্জে লিড দিয়েছিল বলেই তো তার ছেলে ঈশা খান চৌধুরী ১ লাখ ২০ হাজার মার্জিনে বিজেপিকে পরাজিত করে ভোটে জিতেছিল। আর উনি ৮৫ হাজার ৮৫ ভোটে হেরেছেন কেন সেটার ব্যাখ্যা দেন! ঈশা খান চৌধুরীর জেতার ক্রেডিট আর ওনাকে নিয়ে কিছু লাভ হবে না ২৬ এ।’