Murshidabad Chess বহরমপুরে শিশুদের দাবার চালে নজর বাবা মায়েরও

Published By: Imagine Desk | Published On:

Murshidabad Chess বহরমপুরের  শিশুদের দাবার চালে এবার নজর অভিভাবক, অভিভাবিকাদেরও।  অভিভাবকদের উৎসাহে দাবার চাল এগিয়ে দিচ্ছে খুদেরা। এবই হচ্ছে মুর্শিদাবাদ ওপেন চেস চ্যালেঞ্জে। রবিবার বহরমপুরে কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুলের Krishnath College School হলে  শুরু হল মুর্শিদাবাদ ওপেন চেস চ্যালেঞ্জ।  দার্জিলিং থেকে উত্তর চব্বিশ পরগণা- বিভিন্ন জেলার খুদে দাবাড়ুরা অংশ নিল টুর্নামেন্ট । মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেস প্লেয়ার্স পেরেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের Murshidabad District Chess Players’ Parents Association   উদ্যোগে হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট।

Murshidabad Chess  মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেস প্লেয়ার্স পেরেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের  সম্পাদক অমিত ঘোষ  জানান, শিশুদের বাইরের জেলায় দাবা খেলতে যাওয়া ব্যয় সাধ্য ব্যাপার। সেই ভাবনা থেকেই উদ্যোগ। দাবা, একটি বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের চিন্তাশক্তি ও কৌশলগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আসছে। আজকের দিনে শিশুদের মানসিক বিকাশ, মনঃসংযোগ, ও নেতৃত্ব গঠনে দাবা একটি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।

দাবা খেলা শিশুদের মধ্যে বিশ্লেষণী চিন্তাভাবনা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা এবং ধৈর্য্যশীলতা তৈরি করে। বিভিন্ন চাল ও পাল্টা চালের মাধ্যমে শিশুরা সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়ার দক্ষতা অর্জন করে। এটি গণিত, বিজ্ঞান ও যুক্তিবিদ্যার প্রতি আগ্রহও বাড়িয়ে তোলে।

Murshidabad Chess  দাবা শেখায় শৃঙ্খলা মেনে খেলা, নিয়ম মানা এবং জয়-পরাজয় দু’টিকে সমানভাবে গ্রহণ করার মনোভাব।

শিশুরা শেখে কীভাবে পরিশ্রম, ধৈর্য্য ও সতর্কতা দিয়ে কোনো লক্ষ্য অর্জন করা যায়। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামীণ অঞ্চলেও দাবার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অনেক স্কুল ও সামাজিক সংগঠন দাবা শেখানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এমনকি কিছু জেলা প্রশাসন দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শিশুদের উৎসাহ দিচ্ছে। এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন, যা ভবিষ্যতের সমাজকে গড়ে তুলতে সহায়ক হতে পারে। বহরমপুর দাবাড়ুদের অভিভাবকদের এই উদ্যোগও সব মহলে প্রশংসা পাচ্ছে।

 Murshidabad Chess  বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহারে শিশুরা মনঃসংযোগের অভাব ও উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগছে। এমন পরিস্থিতিতে দাবার মতো মনোসংযোগ-নির্ভর খেলা তাদের মানসিক ভারসাম্য ও ধ্যানের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। এমনটাই বলছেন অভিভাবকরা।