Mamata Banerjee সোমবার বহরমপুরে এসে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদে অশান্তি থেকে দিঘার জগন্নাথ ধাম বিতর্ক- চাঁচাছোলা বার্তাও দিলেন। করলেন বিস্ফোরক দাবি। তুললেন ষড়যন্ত্রের প্রশ্নও। ধাম বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাট বা দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক করলে তখন প্রশ্ন হয় না ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজো করলে তখন প্রশ্ন ওঠে না ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীপুজো করলে তখন প্রশ্ন ওঠে না? জগন্নাথ ধামটা খুব গায়ে লেগেছে না ? ‘বলা হচ্ছে আমি নাকি নিম কাঠও চুরি করেছি। আরে আমার বাড়িতেই তো চারটে নিমগাছ আছে। কটা দরকার আছে বলুন। আমাদের চুরি করতে হয় না। চুরি বিদ্যা ভয়ঙ্করী’।’
Mamata Banerjee এদিন নাম না করে বিজেপিকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি জগন্নাথ ধাম করলে খুব গায়ে লাগে? আমাকে চুরি করতে হয়না! চোরের মায়ের বড় গলা। জগন্নাথ মূর্তি কিনতেও পাওয়া যায়।’ ‘আমাদের নিমগাছ চুরি করতে হয় না। আমাদের এত খারাপ অবস্থা হয়নি। মমতার ব্যাখ্যা, ‘আমাদের মূর্তি তো মার্বেলের ছিল। মনে রাখবেন, জগন্নাথ মূর্তি কিনতেও পাওয়া যায়। আমার বাড়িতেও আছে। ওটা নিয়ে এসেছেন দ্বৈতাপতি। যে জায়গা থেকে বলা হচ্ছে , সে জায়গা থেকে নয়। তাঁকে ডাকা হয়েছিল। তিনি বলে দিয়েছেন, তিনি অন্য জায়গা থেকে নিয়ে এসেছেন। আমি শুনেছি, তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে, কেন গিয়েছিলেন পুজো করতে ? নোটিফিকেশন দিয়েছে, কেউ যাবে না।’
Mamata Banerjee মমতা বলেন, ‘ আমরাও তো পুরীতে যাই। জগন্নাথ ধাম নিয়ে এত হিংসা! আমি ওড়িশাকে ভালোবাসি। যখন সাইক্লোনে ইলেক্ট্রিসিটি ভেঙে যায়, আপনারা আমাদের ইঞ্জিনিয়ার চান। আমাদের বাংলার টুরিস্টরা সবচেয়ে বেশী যায় পুরীতে। আপনাদের আপত্তির কী আছে?’ মুখ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক দাবি- ‘ ওড়িশায়, মহারাষ্ট্রে, উত্তর প্রদেশে, বিহারে বাংলায় কথা বললেই অত্যাচার হচ্ছে। আমরা কিন্তু করব না। আমাদের এখানেও দেড় কোটি বাইরের লোক আছে। হিংসার কোন ওষুধ আছে? ওড়িশা, বিহার, রাজস্থান সরকারকে বলব, আপনাদের শুভ বুদ্ধি হোক।’