Madhyamik Result 2025 শুক্রবার প্রকাশিত হল এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। সকাল থেকেই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল চাপা উত্তেজনা। স্কুলে স্কুলেও ছিল ব্যস্ততা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে ফল ঘোষণার পরেই দেখা যায় রাজ্যের মেধাতালিকায় শূন্য মুর্শিদাবাদ। যদিও রাজ্যে শূন্য হলেও মুর্শিদাবাদ জেলার মেধাতালিকায় সেরা দশে জয়জয়কার বহরমপুরের গোরাবাজার ঈশ্বরচন্দ্র ইন্সটিটিউশনের। উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো ফল এই স্কুলের পড়ুয়াদের। জেলার সেরা দশে স্থান পেয়েছে ২৪ জন। আর ২৪ জনের মধ্যে ৯ জনই আইসিআই এর ছাত্র। ফল প্রকাশের পরেই উচ্ছ্বসিত স্কুল কর্তৃপক্ষ। মার্কশিটও এদিন হাতে পেয়ে যায় পরীক্ষার্থীরা।

Madhyamik Result 2025 মুর্শিদাবাদে মাধ্যমিক পরীক্ষায় যুগ্মভাবে প্রথম এই স্কুলের ছাত্র বহরমপুরের বাসিন্দা সৌমদ্বীপ বিশ্বাস। তাঁর প্রাপ্য নম্বর ৬৮২। রাজ্যের মেধাতালিকায় মুর্শিদাবাদ না থাকলেও জেলার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে সৌমদ্বীপ। তাঁর কথায়, ” রাজ্যের সেরা দশে নাম না থাকলেও আক্ষেপ নেই। যতটা আশা করেছিলাম সেটাই পেয়েছি। রেজাল্টে আনন্দিত মা, বাবাও।” সৌমদ্বীপ জানায়, “দিনে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা মন দিয়ে পড়েছি। সাতটি বিষয়েই গৃহশিক্ষক ছিল। লক্ষ্য এখন উচ্চ মাধ্যমিক।”

Madhyamik Result 2025 জেলার সেরা দশে রয়েছে আইসিআই এর আরেক ছাত্র বহরমপুরের বাসিন্দা ইসরাক হোসেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৭। অঙ্ক, ইতিহাসে ১০০ র মধ্যে ১০০ পেয়েছে সে। ইসরাক জানায়, “রাজ্যে সেরা দশে থাকার আশা ছিল। কিন্তু জীবন বিজ্ঞানে নম্বর কমেছে। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ।”
Madhyamik Result 2025 পরীক্ষার্থীদের ফলাফল নিয়ে খুশির হাওয়া স্কুল জুড়ে। স্কুলের এক শিক্ষক রাজীব হোসেন জানান, রাজ্যে স্থান না পাওয়ার কষ্ট আছে। কিন্তু জেলার মেধাতালিকায় আছে ন’জন। এটা সান্তনা যে জেলায় ছাত্ররা ভালো রেজাল্ট করেছে। রেজাল্টের সম্পূর্ণ কৃতিত্বই ছাত্রদের। শিক্ষকরা তাদের গাইড করেছেন।
Madhyamik Result 2025 গোরাবাজার আইসিআই এর প্রধান শিক্ষক আশিস কুমার সরকার জানান, এবছর স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৩৮ জন। একজনের পরীক্ষা অসম্পূর্ণ ছিল। অর্থাৎ ২৩৭ জন পরীক্ষা দিয়েছে, প্রত্যেকেই সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। সর্বোচ্চ নম্বর ৬৮২। পরীক্ষার্থীদের রেজাল্টে স্কুল গর্বিত, আনন্দিত। ভবিষ্যতে আরও ভালো রেজাল্ট হবে এই আশা সকলের। তিনি আরও বলেন, “তিন মাস হল স্কুলে এসেছি। প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ডঃ জয়ন্ত দত্ত উনি যেভাবে অনুশাসন, পরিকাঠামো তৈরি করে গিয়েছেন, তারই ফল ভোগ করছি।”