Kandi News বাবা, মা, বোন, স্ত্রী সহ ৮ জনের সংসার। বৃদ্ধ বাবা মা দুজনেই অসুস্থ। সংসারের উপার্জনকারী দুই ভাই। দুজনেই একাদশ দ্বাদশের পর্দাথবিদ্যার শিক্ষক। কিন্তু দুই ভাইয়ের জীবনেই নেমে এসেছে অন্ধকার। মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার আন্দি গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দা রইসুদ্দিন আহম্মেদ ও সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ। রইসুদ্দিন আহম্মেদ কর্মরত ছিলেন বাঁকুড়া বাকিশল একে ইন্সস্টিটিউশনে এবং সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ ছিলেন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের সাদল অঞ্চল সাধারণ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক। গত ৩রা এপ্রিল সুপ্রিম রায়ের পর দুই ভাইয়ের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। চাকরি বাতিল হয়েছে দুই ভাইয়ের। কী করে চলবে সংসার, কে ধরবে পরিবারের হাল? চোখেমুখে শুধুই হতাশা আর উদ্বেগ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তারা।
Kandi News ” রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার আমরা”
Kandi News সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “এই দশ বছরে আমরা ভালো জায়গায় যেতে পারতাম। আইআইটি তে সুযোগ পেয়েও যাইনি। দুবার গেট কোয়ালিফাই করেছি। সম্মানের সাথে চাকরি পেয়ে সমাজ তৈরির কারিগরের পেশাকে বেঁছে নিয়েছিলাম। আজ এই ঘটনার জন্য দায়ী কিছু অসাধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, রাজ্য সরকার, কমিশন, দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্য সরকার আমাদের বাঁচানোর কোন চেষ্টাই করেনি।”
Kandi News একই কথা রইসুদ্দিন আহম্মেদেরও। তিনি বলেন, “আন্দি হাইস্কুলের টপার ছিলাম। প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি সব কোয়ালিফাই করেছি। বাঁকুড়ায় একটি প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দিই। এই রায়ে মানসিক ভাবে আমরা বিপর্যস্ত। বাবা, মায়ের নিয়মিত চিকিৎসা চলে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি আমরা। দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ যোগ্য- অযোগ্য আলাদা করা যাচ্ছে না, সন্দেহের বশে পুরো প্যানেল বাতিল হল। এটা অমানবিক। রিভিউ পিটিশান করার মাধ্যমে যোগ্যরা যেন চাকরি ফিরে পাক। এটাই দাবি”।
Kandi News স্বাভাবিকভাবে একই পরিবারের দুই ছেলের এই পরিণতিতে কার্যত হতাশা গ্রাস করেছে পরিবারকে। দুই ভাইও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। চাকরি বাতিলের জেরে কার্যত দিশেহারা রইসুদ্দিন ও সাহাবুদ্দিন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ চাকরি বাতিল হয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার। সেই তালিকায় মুর্শিদাবাদের হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। কোন পথে মিলবে নতুন চাকরি? আদৌও কী মিলবে? সব মিলিয়ে তীব্র দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে চাকরিহারা দুই ভাইয়েরও।