Kandi Book Fair বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর! কান্দিতে শুরু হল কান্দি মহকুমা বইমেলা। মেলার উদ্বোধন করেন জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র Shri Rajarshi Mitra, IAS , মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুর্য প্রতাপ যাদব Shri Surya Pratap Yadav সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কান্দি পৌরসভার উদ্যোগে গত বছর থেকে শুরু হওয়া এই বইমেলাটি এবার আরও বড় পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে। প্রদীপ প্রজ্বলন ও বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করা হয়।
Kandi Book Fair উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অপূর্ব সরকার, কান্দি পৌরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, “বই হল মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এমন উদ্যোগ আগামী প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।” বিধায়ক অপূর্ব সরকার জানান,
“কান্দি মহকুমার মানুষ বইমেলার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।” সঙ্গীতজ্ঞ প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা
এবারের বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে প্রবাদপ্রতিম সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মেলার সূচনা হয়।
Kandi Book Fair বইয়ের বিপুল সম্ভার মেলায় কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা সহ মুর্শিদাবাদের প্রকাশকরা অংশ নিয়েছেন। বইমেলার আয়োজন ঘিরে উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে কান্দির বাসিন্দাদের মধ্যে। দেবশ্রী মণ্ডল, কান্দির এক বাসিন্দা বলেন, “এই মেলা আমাদের সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসাকে আরও গভীর করবে।” তাপস অধিকারী বলেন, “এখানে প্রচুর নতুন বইয়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, যা সত্যিই আনন্দের।”
সাহিত্য চেতনার প্রসার এই বইমেলা কান্দি মহকুমার মানুষদের সাহিত্যচেতনাকে জাগিয়ে তুলবে বলে মনে করছেন অনেকে। দেবদাস রজক বলেন,
“এমন বইমেলার মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্ম সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী হবে।” ২৩শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বইমেলা মেলায় ৫০টি বইয়ের স্টল। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সাংস্কৃতিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পরপরই বইপ্রেমীদের পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কচিকাচা থেকে প্রবীণ—সকলেই মেলায় এসে নিজেদের পছন্দের বই সংগ্রহ করছেন।