Hariharpara সকালেও ফোনে কথা হয় স্ত্রীর সঙ্গে। দেখেন ৩ মাসের মেয়ের মুখও। এরপর কাজে ব্যস্ত হয়ে যান। সেই কথা যে শেষ বারের মতো হবে, কেই বা জানত! বুধবার দুপুরেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ফোন এল বাড়িতে। দুঃসংবাদে কান্নায় ভেঙে পড়লেন আত্মীয়রা। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে স্ত্রী, সন্তান, মাকে ছেড়ে ভিন রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকের মর্মান্তিক পরিণতি ঘটল। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল হরিহরপাড়ার বাসিন্দা রাজেশ মন্ডলের।
Hariharpara হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত চোয়া আধার পাড়া এলাকার বাসিন্দা রাজেশ মন্ডল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে কাজের খোঁজে তামিলনাড়ুতে গিয়েছিলেন। সেখানেই রাজমিস্ত্রির কাজে পান। এদিন দুপুরে কাজ করার সময় আচমকাই বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাজেশের। তাঁর সহকর্মীদের মারফৎ দুঃসংবাদ পায় বাড়ির লোকজন।
Hariharpara খবর পাওয়া মাত্রই পরিবারের সদস্যরা হরিহরপাড়া থানার দ্বারস্থ হন। কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের আত্মীয় স্বজনরা । পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন রাজেশ। কথা ছিল আগামী মাসে ঈদে বাড়ি আসার। টিকিটও কাটা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এভাবে তাঁর নিথর দেহ ফিরবে কল্পনাও করতে পারছে না কেউ। তরতাজা যুবকের এই পরিণতি দেখে চোখের জল থামছে না পাড়া প্রতিবেশীদেরও।
Hariharpara মৃতদেহ কীভাবে তামিলনাড়ু থেকে বাড়িতে আনা যাবে? প্রশাসনিক সহায়তা চেয়ে হরিহরপাড়া থানার দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। ঘরের ছেলের কফিনবন্দি দেহ বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় আপনজনেরা।