Burwan TMC ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের প্রতিমা যোগ দিলেন তৃণমূলে। বড়ঞার দুবারের কংগ্রেসের বিধায়িকা প্রতিমা রজক ৮ ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরলেন। শনিবার বিকেলে কান্দিতে জেলা তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকারের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন। ২৬ এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করেই কি শাসক তৃণমূলে নাম লেখালেন প্রতিমা?
Burwan TMC যোগদান প্রসঙ্গে কী বললেন?
Burwan TMC প্রতিমা রজক জানান, হঠাৎ করে তৃণমূলে নয়! যোগদান কর্মসূচী হিসেবে ৮ ই মার্চ নারী দিবসকেই বেঁছে নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। কিছুদিন বিরতি নিয়েছিলেন। নতুন করে আবার শুরু করলেন। তিনি আরও জানান, এতদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন অসুস্থ থাকার দরুন। এলাকার মানুষ এখন তাঁকে চাইছেন। সরকারি দলে এসে কাজের সুযোগ পেলে এলাকার উন্নয়ন করার চেষ্টা করবেন।’
Burwan TMC ২০১১ সালের আগে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন প্রতিমা রজক। ২০১১ ও ২০১৬ সালে বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন প্রতিমা রজক। তবে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস দল তাকে প্রার্থী করেনি। তার জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছিল মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদারকে। তারপর থেকেই কংগ্রেসের সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে প্রতিমা রজকের। কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকেও ইস্তফা দেন। দীর্ঘ বিরতির পর প্রতিমা রজক ফিরলেন রাজনীতির মঞ্চে। তবে শাসক তৃণমূলে।
Burwan TMC প্রতিমা রজকের তৃণমূলে যোগদান ঘিরে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল। কান্দির বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার জানান, ‘ বড়ঞা কেন্দ্রের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়িকা, নির্বাচনে দাঁড়াননি ২১ সালে। রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন। প্রতিমা রজক তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন যে এই অঞ্চলে নারী শক্তির উন্নয়নে কাজ করবেন, তৃণমূল কংগ্রেস করতে চান। রাজ্য থেকে সেই নির্দেশ এসে পৌঁছয়। আজকের দিনকেই বেঁছে নেওয়া হল যোগদানের ক্ষেত্রে।’