Bhagawangola News ছেলেকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বাবাকে। অভিযুক্ত আরজেদ সেখকে নিয়েই এবার ঘটনাস্থলে পুনঃনির্মাণে ভগবানগোলা থানার পুলিশ। ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? কী ঘটনা ঘটানো হয়েছিল? পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যেই অভিযুক্তের মুখ থেকে শোনা হয় ঘটনার বিবরণ। শোরগোল পরে যায় রামপুর এলাকায়। গোটা এলাকা দড়ি দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। প্রচুর মানুষ এদিন ভিড় করেন। নৃশংস ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিশুর আত্মীয়রা। কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই।
Bhagawangola News মাস খানেক আগেই এই এলাকায় মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে হাড়গোড়, কঙ্কাল, পোশাক। সন্দেহ হওয়ায় শিশুটি পাড়া প্রতিবেশীদের জানায়, খবর দেওয়া হয় থানায়। ভগবানগোলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কঙ্কাল, হাড়গোড় সংগ্রহ করে। ফরেনসিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় উদ্ধার হওয়া দেহের হাড়গোড় নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ৯ বছরের শিশু আশরাফুলের। খুনের সঙ্গে আশরাফুলের বাবা আরজেদ সেখ ও তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সাগরা বিবি জড়িত আছে বলেও প্রমান মেলে। কঙ্কাল উদ্ধারের সাত মাসের মাথায় গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৩ ই ফেব্রুয়ারি জিয়াগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় আরজেদ সেখকে। তাঁকে নিয়েই মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পুনঃনির্মাণে আসে ভগবানগোলা থানার পুলিশ মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক উত্তম গরাই জানান, খুন কাণ্ডে আসামী আরজেদ সেখকে নিয়ে তাঁর পুরনো বসত বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল। পুরো ঘটনার পুনঃনির্মাণ করা হল।
Bhagawangola News জানা গিয়েছে, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বার বিয়ে করে রামপুরে বসবাস শুরু করেন আরজেদ সেখ। প্রথম পক্ষের মেয়ে আরজিনা ও ছেলে আশরাফুল হক দিদার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। ২০১৩ সালে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে এলে আরজেদ সেখ নিজের কাছে কয়েকদিনের জন্য রেখেছিল ছেলেকে। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয় ছেলে আশরাফুল। কয়েক বছর পর ২০২৪ সালের ১৫ ই জুলাই বাড়ির ভিটেতেই মাটি কাটতে গিয়ে উঠে আসে স্কুল পোশাক ও হাড়গোড়। অভিযোগ দায়ের হয় থানায়।
Bhagawangola News ইতিমধ্যেই আরজেদ সেখকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে ভগবানগোলা থানা। নৃশংস ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকা। আত্মীয় সজনেরা চরম শাস্তির দাবি করছেন।