Berhampore River Cruises কে এন কলেজ ঘাট থেকে ওয়াসিফ মঞ্জিল Wasif Manzil ঘুরে হাজারদুয়ারি Hazarduari– নদী পথে রিভার ক্রুজে নবাবি শহর বেড়ানোর সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। বহরমপুরের কলেজ ঘাট থেকে সরকারি লঞ্চ ভাড়া করে নদী পথেই সোজা নবাবের শহর লালবাগে Lalbag। রিভার ক্রুজেই করা যাবে পিকনিক, জন্মদিন বা বিশেষ কোন অনুষ্ঠান। বড়দিনের সকালে উদ্বোধন হল সেই লঞ্চের। জলধারার উদ্বোধন করলেন মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র, উপস্থিত ছিলেন বহরমপুরের এসডিও শুভঙ্কর রায় সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা।

Berhampore River Cruises কী বললেন মুর্শিদাবাদ জেলা শাসক?
জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন ,- ” দুটি বোট মেরামত হয়েছে। এই বোট দুটি জনসাধারনের জন্য খুলে দেওয়া হল। জেলা প্রশাসন থেকে ভাড়া নিয়ে পিকনিক বা যেকোন অনুষ্ঠান ইত্যাদি করতে পারবেন পর্যটকরা। যাতে বোট দুটি সচল থাকে সেই উদ্দ্যেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৃতীয় লঞ্চটিও মেরামত করে ফেরী পারাপারের জন্য ব্যবহার করা হবে । ”
Berhampore River Cruises আরও বলেন, ” ২০১৯ সালে পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনকে ফেরি পারাপারের জন্য তিনটি লঞ্চ দেওয়া হয়েছিল। যা ফেরী মালিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও ভুটভুটির বদলে লঞ্চ চালাতে ওনারা প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ পাম্প সেট দিয়ে পরিচালনার ফলে তেল খরচ কম হয়। মার্জিন বেশী থাকে। তাই নতুন প্রস্তাব থেকে মুখ ফেরান। বারবার লিখিতভাবে অনুরোধ করা সত্ত্বেও ওনারা চালাননি। তারপর বোটগুলি পড়ে থাকতে থাকতে খারাপ হয়ে যায়। অবশেষে আমরা সারিয়েছি।”
Berhampore River Cruises বহরমপুর থেক কতদূর যাবে লঞ্চ? রুট কী?
Berhampore River Cruises জলধারা ক্রুজের রুট- বহরমপুরের কে এন কলেজ ঘাট থেকে ওয়াসিফ মঞ্জিল এবং ফিরে কে এন কলেজ ঘাটে আসা। দুটি শিফট রাখা হয়েছে- সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো। এবং বিকেল ৩ টে থেকে সন্ধ্যে ৭ টা। ৪ ঘণ্টার জন্য ভাড়া ৬ হাজার টাকা। লঞ্চের যাত্রী ধারন ক্ষমতা- সর্বোচ্চ ৩০ জন। বুকিং এর ক্ষেত্রে বহরমপুর এসডিও অফিস তদারকি করবে।
Berhampore River Cruises লঞ্চ বুকিং প্রসঙ্গে জেলা শাসক জানান, “দুটি ফোন নম্বর দেওয়া আছে, বিভিন্ন দপ্তর, কলেজ বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। জেলা কালেক্টরেট এর এনডিসি অফিস থেকে বুকিং করা হবে। একটি ফোন নম্বর দেওয়া আছে। বুকিংটি অপারেট করবেন এসডিও সদর।”
Berhampore River Cruises ভাগীরথীর বুক চিড়ে একটু একটু করে এগিয়ে যাবে এই লঞ্চ। শীতের মনোরম পরিবেশে নবাবের শহরের ইতিহাসকে চাক্ষুস করার সুযোগ জলপথে পাবেন আম জনতা। এদিন জলধারার লঞ্চ দুটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে পর্যটকদের উন্মাদনাও ছিল চোখে পড়ার মতো। বড়দিনের সকালে জলপথে ভাগীরথীতে নৌকা বিহারে অংশ নিয়ে খুশির হাওয়া পর্যটকদের মনে। প্রথম যাত্রী হিসেবে গর্বিত বললেন পর্যটকরা।