ANANDADHARA স্কুল ইউনিফর্ম তৈরি হোক বা অন্যান্য প্রশিক্ষন। গ্রামে গঞ্জে কুটির শিল্পের কাণ্ডারি তারা। দল বেঁধে কাজ করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। নদী ভাঙনে সর্বহারা হয়েছেন কেউ কেউ, কেউ আবার সংসারের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে। দায়িত্ব সামলে, দৈনন্দিন সেই কাজ সামলে একটা দিন অন্য ভাবে কাটালেন স্বনির্ভর দলের মহিলারা। অনেকেই ফিরে গেলেন ছোটবেলার সেই সোনালি দিনে। সামসেরগঞ্জ বিডিও অফিস ময়দানে আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলার মাঠে নামলেন এক ঝাঁক মহিলা। ‘আলোর দিশা মহাসংঘ’ এর উদ্যোগে ৪র্থ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ঘিরে বৃহস্পতিবার মিলন মেলার চেহারা নিল খেলার মাঠ।
ANANDADHARA ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রকল্প আধিকারিক, প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি, জন প্রতিনিধি। বয়সের তোয়াক্কা না করেই প্রতিযোগিতায় নানান ইভেন্টে অংশ নিলেন মহিলারা। খেলার সাথেই দিলেন সমাজ সচেতনতার বার্তাও। মহিলাদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে উঠে এল নদী ভাঙনের সমস্যা, গাছ লাগানোর গুরুত্ব, নারী জয়গানের কথা।
ANANDADHARA স্বনির্ভর দল নিয়ে কাজ করছে ‘আনন্দধারা’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে মুর্শিদাবাদ জেলার ২৬ টি ব্লকে তৈরি হয়েছে ২৬ টি মহাসংঘ। রয়েছে ২৫০ টি সংঘ। মুর্শিদাবাদ জেলায় রয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার স্বনির্ভর দল। যে দলের ১১ লক্ষ মহিলা আনন্দধারা প্রকল্পের সাথে যুক্ত।
ANANDADHARA কী জানালেন জেলা প্রকল্প আধিকারিক?
ANANDADHARA ডিসট্রিক্ট রুরাল ডেভলপমেন্ট সেলের (DRDC) জেলা প্রকল্প আধিকারিক ডঃ সুকান্ত সাহা বলেন, ‘ আগামী দিনে সামসেরগঞ্জ ব্লকে প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়েরা যারা অর্থনৈতিক কাণ্ডে যুক্ত হতে চায়, নিজেরা স্বাবলম্বী হতে চায়, সাথে ব্লক প্রশাসন, পঞ্চায়েত সমিতি, জনপ্রতিনিধি প্রত্যেকেই নিশ্চয়ই সহযোগিতা করবেন। আগামী দিনে ভালো কিছু হবে।’
ANANDADHARA শীতের পিঠে পুলির প্রতিযোগিতাও হয়। স্বাদের ভিত্তিতেই বেঁছে নেওয়া হয় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থানাধিকারীকে। এদিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে জয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।