Adhir Ranjan Chowdhury দীর্ঘদিনের কর্মীজীবনের সঙ্গী। এককথায় কাছের লোক। সেই ঘনিষ্ঠই পুলিশের জালে! বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দীর্ঘদিনের পার্সোনাল সেক্রেটারি বা আপ্ত সহায়কের পদে নিযুক্ত থাকা প্রদীপ্ত রাজপণ্ডিত এবার পুলিশের জালে। তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হলদিয়া পুলিশের হাতে। অধীরের দীর্ঘদিনের আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধেই উঠেছে বিস্ফোরক অভিযোগ! যা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।
Adhir Ranjan Chowdhury বুধবার বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর পার্সোনাল সেক্রেটারি রাখার অধিকার নেই। হেরে যাওয়ার পর পিএস এর ক্ষমতাও চলে গেছে। কাউকে রাখার ক্ষমতা চলে গেছে। এখন সে পার্লামেন্টের স্টাফ। যদিও এতদিন ধরে কাজ করেছে, সম্পর্ক অবশই আছে। নানা কাজে কখনো ফোন করতে হয়।’
Adhir Ranjan Chowdhury ধৃত প্রদীপ্ত রাজপণ্ডিত থাকতেন দিল্লিতে। আসল বাড়ি হলদিয়ার সুতাহাটা থানার চৈতন্যপুরে। এই প্রদীপ্ত রাজপণ্ডিতের গতিবিধিও চর্চায়। এর আগে প্রদীপ্ত রাজপণ্ডিতের গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নিশিত প্রামাণিককে। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।
Adhir Ranjan Chowdhury সম্পর্ক থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে কোথায় বাড়ি? জানতেনই না। এমনটাই দাবি করেছেন অধীর। তিনি বলেন, ‘ দিল্লিতে কোথায় বাড়ি জানি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কোথায় বাড়ি তাও জানি না। কোনদিন বাড়িতে যাইও নি। সে পশ্চিমবঙ্গে এসেছে। কয়েক মাস ধরে পার্লামেন্টে নেই। সে তাঁর নিজের বাবা মায়ের বাড়িতে এসেছে, কেন তাও জানি না। ফোনে জানতে পারি তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’
Adhir Ranjan Chowdhury আপ্ত সহায়কের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অধীর বলেন, ‘ যে কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটার জন্য পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। দরকার হলে কেস দেবে। আমি কাউকে বলতেও যায়নি। আইন আইনের মতো চলবে। আমি কিন্তু একথা বলছিনা যে কাউকে ষড়যন্ত্র করে পুলিশ ফাঁসিয়েছে। আমরা যেটা অভিযোগ ডাইরেক্ট করি। ‘